
বর্তমানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সমান তালে চলছে ভবিষ্যৎ সিরিজের পরিকল্পনাও। আগামী মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরপরই মে মাসে পাকিস্তান সফরে যাবে টাইগাররা। আর তারপর জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান।
সিরিজটি অবশ্য এফটিপির (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) বাইরে আয়োজন হবে উভয় বোর্ডের আগ্রহে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজে সব মিলিয়ে খেলা হওয়ার কথা রয়েছে আট ম্যাচ। যেখানে প্রতিটি খেলা হওয়ার কথা ছিল ওয়ানডে ফরমেটে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বদলে যেতে চলেছে সিরিজের ফরমেট।
মূলত আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পুরো সিরিজটিই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আয়োজন করতে চায় দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। অর্থাৎ ওয়ানডের বদলে এবার সবগুলো ম্যাচই হতে পারে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। যদি চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে বিশ্বকাপের আগে দুই দলই নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন:
» চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন ধোনি
» ব্যাট চুরি! বিশ্বকাপে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের কর্মকাণ্ডে উঠেছে বিতর্ক
বিসিবির সহকারী নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘প্রথম পাঁচটি ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে। আপাতত এতটুকু নিশ্চিত হয়ে গেছে। পরের তিন ম্যাচের বিষয়ে এখনো জানা নেই, আলোচনা চলছে।’ তবে বিসিবি ও পিসিবির অভ্যন্তরীণ আলোচনা অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচই টি-টোয়েন্টিতে রূপ নিতে পারে।
বিশ্বকাপের আগে এই পরিবর্তন বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। এদিকে এখনও চূড়ান্ত হয়নি টাইগারদের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কে হবেন? ধারণা করা হচ্ছে এই সিরিজ দিয়েই নতুন নেতৃত্বের অধ্যায় শুরু হবে বাংলাদেশের। যা বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে নেয়া হবে।
সিরিজের আনুষ্ঠানিক সূচি ও ফরম্যাট এখনও চূড়ান্ত ভাবে ঘোষণা হয়নি। তবে বদলে যাওয়া পরিকল্পনা নিশ্চিত হলে বিশ্বকাপের আগে দুই দলের জন্যই এটি হতে যাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ, যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি দলগুলোর সামগ্রিক প্রস্তুতি বেশ ইতিবাচক কাজে দেবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে হতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩মার্চ২৫/এফএএস
