টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর এবার ওয়ানডেতেও পাকিস্তানের মেয়েদের হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। টস হেরে বোলিংয়ে এসে স্পিনারদের নৈপুণ্যে মাত্র ১৬৬ রানেই পাকিস্তানকে আঁটকে দেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। জবাবে মুর্শিদা-ফারজানার রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে ২৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা।
এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দলের ব্যাটিং ব্যর্থায় ৫ উইকেটের হার সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জয় তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আর আজ (শুক্রবার) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শুরুতে টাইগ্রেস স্পিনারদের বোলিং ঘূর্ণিতে ১৬৬ রানেই আটকে ফেলে নিদা দারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানকে।
পরে ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে বাংলাদেশের নারীদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১২৫ রানের রেকর্ড জুটিতেই কাজটা অনেক সহজ করে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসের রেকর্ড সর্বোচ্চ ১০ম অর্ধ শতক তুলে ১১৩ বলে ৬২ রান করে আউট হন ফারজানা হক।
দলীয় ১২৮ রানের সময় মুর্শিদা খাতুনও ব্যক্তিগত ৫১ রান করে আউট হয়ে যান। পরে নিগার সুলতানার সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ফাহিমা। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। জ্যোতি-মোস্তারির ৩৯ রানের অপরাজিত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগ্রেসরা। অধিনায়ক জ্যোতি ২৫ বল খেলে করেন ১৮ রান, অপর পাশে সোবহানা মোস্তারি ৩০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাক অধিনায়ক নিদা দারের শিকার হন আজকে বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যান ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা সিধরা আমিন-সাদাফ শামসের উদ্বোধনী জুটিতে শুভ সূচনা পায় পাকিস্তান। দলীয় ৬৫ রানে শামস ব্যক্তিগত ৩১ করে আউট হয়ে গেলে উইকেটে আসেন মুনিবা আলি। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনিবা। ১৪ রান করেই সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। এরপরেই পকিস্তান ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিল শুরু হয়ে যায়।
এক প্রান্তে সিধরা আমিন আগলে রাখলেও আর কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সিধরা ৮৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। টাইগ্রেসদের হয়ে নাহিদা আক্তার সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া রাবেয়া খান উইকেট নেন ২ টি।
আরও পড়ুন: বিজয়সহ টপ অর্ডার নিয়ে ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট
ক্রিফোস্পোর্টস/১০নভেম্বর২৩/এমএস/এমটি