অধরা স্বপ্নটা এবার সত্যি হলো। যুবাদের হাত ধরে এশিয়া কাপের শিরোপা জয় করেছে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাকিব-মিরাজদের উত্তরসূরীরা।
রবিবার আমিরাতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বোলারদের রীতিমত শাসন করেছে টাইগার ব্যাটাররা। তরুণ তুর্কি আশিকুর রহমান শিবলির জাদুকরী সেঞ্চুরিতে ২৮২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
টাইগারদের রান পাহাড় টপকাতে গিয়ে দলীয় ১০০ রানের আগেই বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলা আমিরাত। ১৯৫ রানের বিশাল জয় পায় টাইগাররা। প্রথমবারের মতো যুবাদের হাত ধরে এশিয়ার সেরা হলো বাংলাদেশ।
আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকা টাইগার যুবাদের কাছে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী ১৪৯ বলে ১২৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টসে জিতে বাংলাদেশের যুবাদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাতের যুবারা। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানেই আউট হয়ে যান টাইগার ওপেনার জিশান আলম। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পুরোপুরি ম্যাচে ফেরায় আশিকুর রহমান শিবলী এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
রিজওয়ান ৭১ বলে ৬০ রান করে আউট হন। এরপরে নামা আরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৫০ রান। শেষ দিকে মাহফুজুর রহমানের ১১ বলে ২১ রানের কল্যাণে এবং ওপেনার শিবলীর ১৪৯ বলে ১২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮২ রান। স্বাগতিকদের হয়ে ১০ ওভারে ৫২ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আয়মান আহমেদ।
জবাবে ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় আরব আমিরাতের যুবারা। দলীয় ১২ রানেই ওপেনার আরিয়ানশ শর্মার উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। ২৮ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে সাজঘরে ফেরা আরেক ওপেনার অক্ষত রাই করেন ১১ রান। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকায় ২৪.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় আরব আমিরাত।
স্বাগতিকদের হয়ে মাত্র দু’জন ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের রান সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন অলরাউন্ডার ধ্রুব পরোশার। বাংলাদেশের হয়ে মারুফ মৃধা এবং রোহানাত বর্ষণ দু’জনেই সমান ৩ টি করে উইকেট নেন। বাকি ৪ উইকেট নেন ইকবাল হাসান ইমন এবং পারভেজ রহমান জীবন সমান ২ টি করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৮২/৮ (৫০)
টার্গেট: ২৮৩ (৫০)
আমিরাত: ৮৭/১০ (২৪.৪)
ফলাফল: ১৯৫ রানে জয়ী বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে বিজয় দিবস রাঙাল বাংলাদেশের মেয়েরা
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭ডিসেম্বর২৩/এমএস/এসএ