বর্তমানে বাংলাদেশে হাঁটছে বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। গেল কিছু দিনে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন এক পর্যায়ে গণমানুষের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে পরিণত হয়। যেখানে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত এক দফা দাবি মেনে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন চলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কাজ। তবে এই সময়ে দেশে ছড়িয়ে ব্যাপক নৈরাজ্য ও অস্থিরতা।
এদিকে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। দশ দল নিয়ে আয়োজন হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট এবার পড়েছে কিছুটা চাপের মুখে। কেননা সরকার পতনের পর বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়ে আসেনি। বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ না ফিরলে বাংলাদেশের বিকল্প ভেন্যু কী হতে পারে তা নিয়েও চিন্তা করে রেখেছে আইসিসি।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির এই বিকল্প ব্যবস্থার কথা নিজেদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্রিকেট ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফো। তাদের সেই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে তালিকায় রাখা হয়েছে আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাম। এছাড়াও জানানো হয়েছে বর্তমানে আইসিসি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি।
আইসিসির এক কর্মকর্তা গতকাল জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত সব ধরণের সম্ভাবনার দ্বার খোলা রাখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), তাদের নিরাপত্তা সংস্থা এবং আমাদের স্বাধীন নিরাপত্তা পরামর্শকদের সঙ্গে নিয়ে আইসিসি ভালোভাবে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সব অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা এবং ভালো থাকার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া তিন দেশের সরকার এরই মধ্যে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে। এদিকে বিকল্প ভেন্যুতে অল্প সময়ের মধ্যে এই মেজর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হলেও থাকছে কিছু সমস্যা। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে এবং ভারতের ভিসা পেতে জটিলতায় পড়তে হতে পারে পাক ক্রিকেটারদের।
আরও পড়ুন: স্পেনকে হারিয়ে অলিম্পিকের ফাইনালে ব্রাজিল
ক্রিফোস্পোর্টস/৭আগস্ট২৪/এফএএস