
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ভারতের বিপক্ষে নতুন বলে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। পাওয়ার-প্লেতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় দলটি। তবে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান তাওহীদ হৃদয় এবং তাকে সঙ্গ দেন জাকের আলী। জাকের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস এবং হৃদয়ের হার না মানা সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে টিম টাইগার্স।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান তুলে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেছেন হৃদয়। এছাড়া জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮ রান। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর তিনে নামা শান্তও হতাশ করেছেন। টাইগার কাপ্তানও হাটেন সৌম্যের দেখানো পথে। ২ বল খেলে ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

হৃদয়কে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের। ছবি- সংগৃহীত
আরও পড়ুন:
» চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ ফখরের, বদলি হিসেবে ডাক পেলেন যিনি
» একুশে পদক পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাবিনাদের বাদ দিয়ে দল ঘোষণা
দলীয় ২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বড় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তানজিদ তামিম। তবে দলীয় ২৬ রানের মাথায় কাটা পড়েন তিনিও। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১০ বলে ৫ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
শুরু থেকে অন্যান্য ব্যাটাররা কিছুটা ভুগলেও দারুণ খেলছিলেন তানজিদ তামিম। তবে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফিরে যান তিনিও। ইমফর্ম এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ২৫ রান করেন। তামিমের বিদায়ের পর দলের দায়িত্ব ছিল অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের কাঁধে। তবে উইকেটরক্ষক ব্যাটারও হতাশ করেছেন। নিজের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
এরপর তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তারা। যেখানে শতরান পেরোনোই কঠিন ছিল, সেখানে এই দুইয়ের ব্যাটে দুইশো পেরিয়ে বড় লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলো টাইগাররা। তবে ১৮৯ রানের মাথায় জাকের ফিরে গেলে দুর্দান্ত এই জুটি ভেঙে যায়।
জাকের ফেরার পর রিশাদ হোসেন ২ ছয় ও ১ চারের মারে ১২ বলে ১৮ রানের ক্যামিও খেলে ফেরেন। তখনও সেঞ্চুরি থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন হৃদয়। তবে ইনিংসের ৪৯তম ওভারে এসে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার স্বাদ পান হৃদয়। ওয়ানডেতে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে তার লড়াকু ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
ভারতের হয়ে শামির ৫ উইকেটের পাশাপাশি হার্শিত রানা ৩টি এবং অক্ষর প্যাটেল ২টি উইকেট শিকার করেছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০ফেব্রুয়ারি২৫/বিটি
