গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অনেকটা সময় বিশ্রামে কাটিয়েছিল টাইগার ক্রিকেটাররা। তবে তারপর থেকেই যেন শুরু হয়েছে ব্যস্ততা। আন্তর্জাতিক সূচিতে ঠাসা বাংলাদেশের সামনে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এবার ভারত সফর শেষেও বসার সুযোগ নেই শান্ত বাহিনীর। কারণ সপ্তাহখানেক পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ।
গতকাল ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে সফর সমাপ্ত করেছে বাংলাদেশ দল। এই সফরে প্রথমে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল টাইগাররা। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে উভয় সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
এবার বাংলাদেশের সামনে রয়েছে হোম ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে দুটি লাল বলের খেলা। আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে খেলা হবে এই দুই ম্যাচ। তাই উভয় দলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ। এদিকে ভারত সফরেই সাকিব আল হাসান ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হতে যাচ্ছে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ। তাই ভক্তদের জন্যেও বিশেষ এই টেস্ট সিরিজ।
আরও পড়ুন:
» রিশাদের ওভারে ৫ ছক্কা হাকিয়ে যা বললেন সঞ্জু স্যামসন
» ‘আইপিএলের নতুন নিয়মে চ্যালেঞ্জ বাড়বে বিদেশি ক্রিকেটারদের’
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ করেও খুব একটা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাবে না টাইগার ক্রিকেটাররা। আগামী মাসের শুরুতেই দেশের বাইরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে নভেম্বর-ডিসেম্বরের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে শান্ত বাহিনী।
এদিকে ভারত সফরে যাওয়ার আগেই পাকিস্তানের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছিল বাংলাদেশ। যেখানে তাদের ঘরের মাঠে বাবর-রিজওয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফিরেছিল টাইগাররা। তবে সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস খুব একটা কাজে লাগেনি ভারত সফরে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩অক্টোবর২৪/এফএএস