দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেট হাতে রেখে ব্যাটিংয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। তবে প্রথম দিনের ৬৯ রানের সঙ্গে আর শত রানও যোগ করতে পারেনি তারা। ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগার ব্যাটাররা। এমন ব্যাটিংয়ে লিটন-মমিনুলদের দোষারোপ করা গেলেও উইন্ডিজ বোলারদের কৃতিত্ব কোনভাবেই খাটো করে দেখা সম্ভব নয়।
আগের দিন শুরুতে দুই উইকেট হারানোর পর শাহাদাত হোসেন দিপুকে সঙ্গে নিয়ে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ইসলাম। তবে এদিন খুব বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি তারা। আর এরপর লিটন ও জাকের আলী ১ রান করে আউট হলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মিরাজ-তাইজুল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে কেবল লজ্জা এড়িয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুন বোলিং করেন জায়দেন সিলস। ১৫.৫ ওভার বল করে তুলে নিয়েছেন টাইগারদের ৪ উইকেট। তবে মজার বিষয় এতো লম্বা সময় বোলিং করে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৫ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি মাত্র ০.৩২ রান দিয়েছেন এই উইন্ডিজ পেসার। আর এতেই ভেঙেছেন ৪৭ বছরের এক রেকর্ড।
আরও পড়ুন:
» দ্বিতীয় জয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে তানজিম সাকিবের গায়ানা
» আবারও জেতা ম্যাচ হেরে বসল রংপুর রাইডার্স
১৯৭৭ সালের পর টেস্ট ক্রিকেটে ন্যূনতম ১০ ওভার হাত ঘোরানো বোলারদের মধ্যে সর্বনিম্ন ইকোনমিতে কাল বল করেছেন সিলস। আর এতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়াও শামার জোসেফ শিকার করেন ৩ উইকেট। কেমার রোচ ২টি এবং আলজারী জোসেফ পেয়েছেন ১টি উইকেট।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বোলিংয়ে এসেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৭ ওভার বল করে টাইগার বোলারদের প্রাপ্তি কেবল ১ উইকেট। দলকে একমাত্র ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার নাহিদ রানা। মিকাইল লুইজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাহিদ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৭০ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২ডিসেম্বর২৪/এফএএস