বিপিএলে আরো একটি শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল ফরচুন বরিশাল। শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ২০২৫ বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের শিরোপা জয় করেছে তারা। এ নিয়ে সবশেষ চার আসরে ৩ ফাইনাল খেলে দুটি শিরোপা ঘরে তুলেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। জবাবে খেলতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
এদিন রানতাড়ায় নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৭ রান যোগ করেন তিনি। এরপর ২৪ বলে পৌঁছে যান ফিফটি রানের মাইলফলকে। তবে ইনিংসের নবম ওভারে শরিফুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে খালেদ আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তামিম। এতে ২৯ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন:
» বিসিবির চাকরি ছেড়ে হান্নানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা
» এশিয়ার ৩ দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে দেখছেন শোয়েব
অবশ্য তামিমের পরেই ফিরে যান ইংলিশ তারকা ডেভিড মালান। একই ওভারে শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ১ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটার। এরপর হৃদও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় নাঈম ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তারকা। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। এরপর মুশফিকুর রহিম মারকুটে ভঙ্গিতে শুরু করলে ৯ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর কাইল মায়ার্সের ব্যাটে জয়ের দিকে এগোতে থাকে বরিশাল। তবে ইনিংসের ১৮তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল। একে একে মায়ার্স (৪৬) ও রিয়াদকে (৭) ফেরান এই পেসার। পরের ওভারে মোহাম্মদ নবিও ফিরে গেলে বড় বিপদে পড়ে বরিশাল। তবে রিশাদ হোসেনের ২ছক্কায় ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৩ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে তামিম ইকবালের দল।
চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া নাঈম ইসলাম ২টি এবং বিনুরা ফার্নান্দো ১টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার খাজা নাফি ও পারভেজ হোসেন ইমন। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ বলে ১২১ রান তুলেন তারা। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ৬৬ রান করে ফেরেন নাফি। ৪৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কার মারে এই রান করেন তিনি। নাফি ফিরে যাওয়ার পর ইমনকে সঙ্গ দেন তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক। মাঠে নেমেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন এই ইংলিশ তারকা।
তবে শেষদিকে চিটাগংয়ের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। শেষ চার ওভারে কেবল ৩১ রান তুলেছে দলটি। ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউটের শিকার হয়ে ফিরে যান গ্রাহাম ক্লার্ক। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ব্যাটার। এছাড়া ইমন দলীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে অপরাজতি ছিলেন। তার এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৬ টি চার ও ৪ টি ছক্কার মার ছিল।
বরিশালের হয়ে চার ওভারে ২১ রান দিয়ে ১টি উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। এছাড়া এবাদত হোসেন চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং কিংস: ১৯৪/৩ (২০ ওভার)
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (১৯.৩ ওভার)
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী
ক্রিফোস্পোর্টস/৭ফেব্রুয়ারি২৫/বিটি