বিপিএলের দশম আসরে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল। সাকিব-তামিমদের এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে সাকিবদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তামিমদের ফরচুন বরিশাল।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৪৯ রানের পুজি পায় রংপুর। জবাবে ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
১৪৯ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ধীরগতিতে করে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আবু হায়দার রনির শিকার হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক তামিম। একই ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার মিরাজ। এরপর কিছুটা চাপে পড়ে যায় বরিশাল।
পরবর্তীতে চাপ সামাল দেন মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার। দেখেশুনে রান করে এগোতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ৬৯ রানের মাথায় সৌম্য ফিরে গেলে ভেঙে যায় তাদের ৪৭ রানের জুটি। এরপর কাইল মায়ার্স ও মুশফিকের ঝোড়ো জুটিতে সহজেই ম্যাচ বের করে নেয় বরিশাল।
১১৯ রানের মাথায় মায়ার্স ফিরে গেলে শেষদিকে ডেভিড মিলার ও মুশফিকের ৩৩ রানের জুটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন। এছাড়া সৌম্য ২২, মায়ার্স ২৮ ও মিলার ২২ রান করেছেন। রংপুরের হয়ে আবু হায়দার রনি ২টি এবং মোহাম্মদ নবী ও ফজলহক ফারুকী ১টি করে উইকেট শিকার করেন
এদিকে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের বোলিং ঝড়ে দলীয় ১৮ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় রংপুর। পরবর্তীতে বিপত্তি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা জেমি নিশাম ও নিকোলাস পুরান দলীয় ৪৮ রানের মাথায় পর পর দুই ওভারে ফিরে যান। ১৫ তম ওভারে জেমস ফুলারের জোড়া আঘাতে ৭৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।
দলের যখন ১০০ পেরোনোই অনিশ্চিত তখন দলকে আশা দেখান শামীম। ৮ম উইকেটে আবু হায়দার রনির সাথে ৩৩ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে ১৪৯ রানের পুজি দাঁড় করান এই বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ২০ বলে ফিফটি তুলে নেয়া শামীম শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া ২৮ রান করেছেন জেমি নিশাম।
বরিশালের হয়ে ফুলার ৩টি, সাইফউদ্দিন ২টি এবং মিরাজ ও মায়ার্স ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০ বলে ফিফটি হাকালেন শামীম, ১৪৯ রানে থামল রংপুর
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮ফেব্রুয়ারি২৪/এমটি