ভারতের বিপক্ষে চলমান চেন্নাই টেস্টে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। বোলারদের কল্যাণে স্বাগতিকদের অল্প রানের মধ্যেই আটকে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার রেকর্ডগড়া জুটিতে ৩৭৬ সংগ্রহ পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে টেস্ট ক্রিকেট বিবেচনায় এটা খুব চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছিল না। তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এটাই পাহাড়সম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথম ইনিংসে ভারতের অর্ধেকও রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। জাসপ্রিত বুমরাহ-আকাশ দীপদের বোলিং তোপে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। এতে ২২৭ রানের লিড পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ২৮৭ রান যোগ করে ভারত। এতে টার্গেট দাঁড়ায় ৫১৫ রান।
পাহাড়সম এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিন সমাপ্তির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য এখনো ৩৫৭ রান প্রয়োজন টাইগারদের, হাতে আছে ৬ উইকেটে। এদিন জাকির-সাদমরা মাঠে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। এছাড়া প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিক-মুমিনুলরা।
আরও পড়ুন:
» আঙুলের চোট নিয়ে চেন্নাই টেস্টে খেলছেন সাকিব!
» আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মুশফিক
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। ব্যাটাররা সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যাটার যখন ৩০-৪০ রান করবে, তখন তার ইনিংসটা বড় করা উচিত। শুরুর দিকে বল সামলানো কিছুটা কঠিন। তবে এই কঠিন কাজটা করে ফেলার পর সুযোগটা কাজে লাগানো উচিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে এমনটা দেখা গেছে। এ বিষয়টা আমাদের নজরে আছে।’
‘এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচটা ঠিক করা। শুরুটা ঠিকঠাক হলে, শুরুর ২০-৩০টা বল খেলে ফেললে পিচ সম্পর্কে ব্যাটারদের একটা ধারণা হয়ে যায়। তখন তার একটা লম্বা ইনিংস খেলা দরকার। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা এই সেক্টরে সুবিধা করতে পারছে না। তবে এ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’-তিনি আরও যোগ করেন।
এছাড়া ক্রিকেটারদের মানসিক ঘাটতিও দূর করতে হবে বলে মনে করেন হেম্প, ‘টেস্ট ক্রিকেটে মানসিকভাবে অনেক শক্ত থাকতে হয়। কখন আক্রমণাত্মক, কখন রক্ষণাত্মক হতে হবে সেগুলো বুঝতে হবে। তবে এ জায়গায় আমরা ব্যর্থ। এই ব্যর্থতাগুলোকে আমরা ঝেড়ে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
ক্রিফোস্পোর্টস/২১সেপ্টেম্বর২৪/বিটি