
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হয়নি সাকিব আল হাসানের। বিসিবির ব্যাখ্যা ছিল—শুধু ব্যাটিং দক্ষতার ভিত্তিতে তাকে রাখা সম্ভব হয়নি, আর বোলিং নিষিদ্ধ থাকায় সেই দিকটিও বিবেচনায় আসেনি। তবে সাকিবের কোনো অভিযোগ নেই, যদিও তিনি চেয়েছিলেন বিসিবি অন্তত তার সঙ্গে যোগাযোগ করুক।
বোলিং নিষেধাজ্ঞা কাটানোর জন্য সাকিব শৈশবের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের অধীনে অনুশীলন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশে ফেরার ঝুঁকি থাকায় বিসিবিকে ভারতে বা পাকিস্তানে ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেছিলেন, যদি সালাউদ্দিনের সঙ্গে অনুশীলনের পরও ব্যর্থ হন, তাহলে দল থেকে বাদ দেওয়া হোক—তাতে তার আপত্তি থাকবে না। তবে বিসিবি সে অনুরোধ রাখেনি।
আর এতে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বারের অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি সাকিব। এরপর সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ না পেয়ে সাকিব ইংল্যান্ডে সারের প্রধান কোচ গ্যারেথ ব্যাটির অধীনে অনুশীলন করেন। সেখানেই তিনি বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে তৃতীয় পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হন। কিন্তু ততদিনে বড্ড দেরি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
» ক্রিকেটারদের অভিযোগে বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার
» সেমির আগেই বিদায়ের শঙ্কায় দুই চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ফ্রান্স
এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরানো হবে কি না। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, তিনি অতীত নিয়ে ভাবতে চান না, ভবিষ্যতের দিকেই তার নজর। তবে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ আরও ভালো হলে বিষয়টি সহজ হতো বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আমি অভিযোগ করছি না, কিন্তু যোগাযোগ ভালো হলে আমি আরও খুশি হতাম।’
এদিকে, বোলিং নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার পর নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন সাকিব। রমজান মাসে ‘ওয়ান-এক্সবেট’ নামে একটি বেটিং প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন তার ফেসবুক পেজে শেয়ার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বেটিং অবৈধ হওয়ায় এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমালোচনা হলেও বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না থাকায় এই ইস্যুতে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ কম বিসিবির।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩মার্চ২৫/এফএএস
