অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে এখন অনিশ্চিত। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে আইসিসি। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এই সময়ের মধ্যে আইসিসি’কে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানাতে পারে কিনা বিসিবি, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন এখন আর বিসিবির হাতে নেই। রাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহায়তা প্রয়োজন। সেখানে দলগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
যে তিনটি ভেন্যু মিরপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের খেলা হবে, তা মোটামুটি প্রস্তুতি। দলগুলোর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডও আইসিসি থেকে অনুমোদিত। যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছে। সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:
» অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি
» ফাইনালে ৩২ রানে হারলো বাংলাদেশ এইচপি
৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরূপ হলে, বিশ্বকাপে দলগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়ে বিসিবি’কে চিঠি দেয় আইসিসি। এই চিঠির উত্তর দিতে হবে ২০ আগস্টের মধ্যে। কিন্তু বিসিবি এখনো সরকারের সবুজ সংকেত পায়নি। ফলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দোটানায় বিসিবি।
সভাপতি অনুপস্থিত, পরিচালকরা জানেন না তারা বোর্ডে থাকবেন কিনা। ক্রীড়া উপদেষ্টা বিসিবি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এসব করতে গিয়ে সময় চলে যাচ্ছে। এর চেয়ে বিসিবির গ্রহযোগ্য কয়েকজন পরিচালক, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করলে, বিশ্বকাপ আয়োজনে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮আগস্ট২৪/এজে