সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আম্পায়াররা। সেই প্রেক্ষিতে তাকে দিতে হয়েছে বোলিংয়ের অ্যাকশন পরীক্ষা। তারপরে বড় দুঃসংবাদ পান এই টাইগার অলরাউন্ডার। ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনের অভিযোগে সাকিবের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এতেই বিপাকে পড়েছেন সাকিব। সংস্থাটির সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং বিষয়ক নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদ বলছে, ‘কোনো জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তবে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আরোপ করবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা প্রকাশ করলেও তার আগে সাকিবকে ফিরতে হত বিপিএল দিয়ে। তবে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। যেখানে বলা হয়, ‘জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডর অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। আইসিসি এবং ক্রিকেট বোর্ডগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’
তাই বলা যায় আইসিসি সাকিবের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমলে নিলে বিপদে পড়তে যাচ্ছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। তবে আইসিসির আরেকটি নীতিমালা অনুযায়ী সাকিবকে বিপিএলে কোন ঝামেলা ছাড়াই খেলার সুযোগ করে দিতে চায় বিসিবি। যদিও ক্রিকেট বোর্ড চাইলে এই সুযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারত সাকিবের উপর।
আরও পড়ুন:
» টি-টোয়েন্টি সিরিজের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে যা বলছেন অধিনায়ক লিটন
» টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আজ সন্ধ্যায় মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা
দেশের এক গণমাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস জানান, ‘যেকোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হলে সেটা শুধরানোর জন্য তাকে ম্যাচ খেলতে হবে। তাই দেশের ক্রিকেটে সাকিবের খেলতে কোনো বাধা নেই। তবে দুটি বিষয়ে আমরা পরিস্কার হতে আইসিসির কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।’
‘প্রথমটি হলো কোন কোন প্রতিযোগিতায় সে খেলতে পারবে এবং কোথায় কোথায় নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে সেটা। দ্বিতীয়টি হলো, যেহেতু ইসিবি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই অ্যাকশন শুধরে পরীক্ষা কি ইসিবির অধীনেই দিতে হবে, নাকি বিসিবির স্বীকৃত কোনো বোলিং অ্যাকশন ল্যাবে দিলেও হবে? এই দুটি বিষয়ের জবাবের অপেক্ষায় আছি আমরা।’
এদিকে সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের সরকার পরিবর্তনের পর সাকিবের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন একাংশ মানুষ। এতে করে সাকিব যাতে দেশের মাটিতে খেলতে না পারে, তাই বিক্ষোভ হতেও দেখা যায় মিরপুরে। আবার তাকে খেলতে না দেওয়ার কারণেও দেখা যায় জন অসন্তোষ। এক প্রকার অস্বস্তিকর অবস্থানে থাকা বিসিবির সামনে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ থাকলেও তারা পাশে দাঁড়িয়েছে এই অলরাউন্ডারের।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫ডিসেম্বর২৪/এফএএস