দেশে ক্রীড়াবিদ তৈরির অন্যতম বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। যেখান থেকে উঠে এসেছে সাকিব-মুশরিকদের মতো বিশ্ব বিখ্যাত অসংখ্য ক্রিকেটার। তবে সেই বিকেএসপির বিরুদ্ধেই এসেছিল বয়স জালিয়াতির অভিযোগ। এমনকি হতে হয়েছিল ফুটবল ফেডারেশন কতৃক নিষিদ্ধও।
অবশ্য কোন ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না এমন যুক্তিতে আপিল করলে শেষ পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছিল বিকেএসপি। যদিও সে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার পর চুপ করে বসে থাকেনি প্রতিষ্ঠানটি। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের বিষয়ে চালায় অনুসন্ধান।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের নানা দিক বিশ্লেষণ করে দুই কোচ শাহিনুর ও রবিউলকে শাস্তি প্রদান করেছে কতৃপক্ষ। মূলত নাম ও বয়স জালিয়াতি করে বিভিন্ন ক্লাবের ফুটবলারদের অবৈধভাবে খেলানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই দুই কোচ।
অনিয়মের শাস্তি স্বরূপ দুই কোচের চাকরির বর্তমান বেতন গ্রেডের স্কেলে অবনমন করা হয়েছে। জুনিয়র কোচ রবিউলকে সর্বনিম্ন স্কেল প্রদান করা হয়েছে। এরইমধ্যে শাস্তি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিকেএসপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
বিকেএসপিতে একজন কোচদের পদোন্নতি হতে বেশ বিলম্ব হয়ে থাকে। এই শাস্তির ফলে দুই কোচের পদোন্নতি আরও পিছিয়ে যাবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বিকেএসপির কয়েকজন খেলোয়াড় নাম ও বয়স জালিয়াতি করে দলে নিয়েছিল চকবাজার কিংস। যেই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল এই দুই কোচ।
যদিও জালিয়াতির দায়ে বাফুফে কর্তৃক তেমন কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি সংশ্লিষ্ট ক্লাবটিকে। অনেকের ধারণা, চকবাজার কিংস ক্লাব বাফুফের নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতানের হওয়া কোনো শাস্তি পেতে হয়নি। এদিকে সরকার পতনের পরও বাপু পেতে খুব একটা পরিবর্তন না আসায় এসকল বিষয় এখনও রয়েছে অন্ধকারে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদের অভিযোগে স্পেন থেকে বিশ্বকাপ সরানোর দাবি ভিনিসিয়ুসের
ক্রিফোস্পোর্টস/৭সেপ্টেম্বর২৪/এফএএস