আর সপ্তাহখানেক পরই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএলের একাদশ আসর। সবকিছুই নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট ঘিরে বিশাল প্রস্তুতি নিয়েছে বিসিবি। ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে ২৩ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশাল সঙ্গীতানুষ্ঠান। এরই মধ্যে আম্পায়ার্সদের তালিকাও ঠিক করে ফেলেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আয়োজকরা।
ইতোমধ্যে বিপিএলের মাসকট উন্মোচন হয়েছে। জানা গেছে, এবারের বিপিএলে মাঠের দায়িত্বে সবমিলিয়ে থাকবেন ১২ জন আম্পায়ার। এর মধ্যে ১০ জন দেশি এবং ২ জন বিদেশি আম্পায়ারকে দেখা যাবে। এছাড়া ম্যাচ রেফারি হিসেবেও থাকবেন ৪ জন। তাছাড়া এবারের আসরে উন্নতমানের ডিআরএস, হকআই, স্পাই ক্যামেরাসহ দেখা যাবে আধুনিকসব প্রযুক্তি।
দর্শকদের জন্যও থাকছে নানা আয়োজন।এছাড়া একাদশ বিপিএলের অনেক কিছুতেই স্মরণ করা হবে জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলনকে। শহীদ মীর মুগ্ধর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য থাকবে বিনা মূল্যে পানির ব্যবস্থা। গ্যালারির একটি অংশে থাকবে ‘জিরো ওয়েস্ট জোন’। দর্শকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে থাকবে ই–টিকিটের ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুন:
» ম্যানসিটির ম্যাচসহ আজকের খেলা (২১ ডিসেম্বর ২৪)
» জাকের-শামীমের ‘স্পোর্টসম্যানশিপ’ দেখে পুরস্কার দিতে বললেন বিশপ
» ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে যত রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
তাছাড়া প্রথমবারের মতো এই আসরে থাকবে থিম সং। আর আলাদা আলাদা শহরে থাকছে একাধিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। টুর্নামেন্টের তিন আয়োজক শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২৩, ২৫ ও ২৭ ডিসেম্বর হবে কনসার্ট।
৩০ ডিসেম্বর ফরচুন বরিশাল–দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে আসর মাঠে গড়াবে। আর পরের বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে নতুন আঙ্গিকের এই বিপিএল। মোট সাতটি দল খেলবে এবারের আসরে।
ঢাকায় প্রথম আটটি ম্যাচ হওয়ার পর ৬ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এরপর বিপিএল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৬ থেকে ২৩ জানুয়ারি হবে ১২টি ম্যাচ। এরপর আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল।
২৬ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি হবে লিগ পর্বের শেষ ১০টি ম্যাচ। এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ৩ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ৫ ফেব্রুয়ারি আর ফাইনাল ৭ ফেব্রুয়ারি। ৪৬ ম্যাচের বিপিএল হবে চারটি পর্বে।
এবারের আসরে খেলবে ফরচুন বরিশাল, দুর্বার রাজশাহী, রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, খুলনা টাইগার্স, চিটাগং কিংস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। আর সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও এবার অংশ নেয়নি। ফিরেছে রাজশাহী ও ঢাকার পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।