ঘরের মাঠে পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। সে পুরনো ব্রাজিলকে আবরও দেখলেন ভক্তরা। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে সময় পার করেছে সেলেসাওরা। এরই মধ্যে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে নতুন একটা প্রজন্মের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
এদিন ঘরের মাঠে পেরুর মুখোমুখি হয় ৫ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। পেরুর জালে গোল বন্যায় ভাসিয়ে সমর্থকদের ইঙ্গিত দেয় পুরনো ভঙ্গিতে ফেরার।
এ ম্যাচে চোটের কারণে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে হারায় ব্রাজিল। ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়র দীর্ঘদিন ধরেই মাঠের বাইরে। শুরুর একাদশে রাখা হয়নি বিষ্ময়বালকের তকমা পাওয়া এন্ড্রিককেও। সেলেসাওদের একমাত্র ভরসা ছিল রাফিনিয়া। সেই ভরসা প্রতিক রাফিনিয়াই করেছেন জোড়া গোল। যদিও গোল এসেছেন পেনাল্টি থেকে।
৩৪ মিনিটের ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সুবাদে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার দুর্দান্ত গোলে ১-০ তে এগিয়ে যাই ব্রাজিল। এর আগে খেলা শুরুর ১০ মিনিট পেরোলে গোল হজম করে ব্রাজিল। তবে পেরুর গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপর প্রথার্ধে আর তেমন কোনো সুযোগ পাইনি কোনো দল-ই। ফলে ১-০ ব্যবধনে এগিয়ে থেকে বিরতি যাই ব্রাজিল।
আরও পড়ুনঃ মেসির হ্যাটট্রিকে বলিভিয়াকে গোলে ভাসাল আর্জেন্টিনা
ব্রাজিলের ম্যাজিক শুরু হয় বিরতির পর থেকে। একই দফায় ব্রাজিল আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়। ৫৪ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবারও জামব্রানোর ফাউলের সুবাদেই পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। আবারও সেই রাফিনিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৭১তম মিনিটে লুইজ হেনরিকের ডানপ্রান্ত থেকে পাওয়া ক্রসে অসাধারণ এক সাইডভলিতে বল জালে জড়ান আন্দ্রেয়াস পেরেইরা। এর কিছুক্ষণ পর-ই
পেরুর তিন খেলোয়াড়ের মাঝ থেকে গোল আদায় করে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার হেনরিক।
এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে ব্রাজিল। একই সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় উরুগুয়ের অবস্থান তিনে। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনা। ১০ দলের দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি খেল পারবে ২০২৬ বিশ্বকাপে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬ অক্টোবর ২৪/এইচআই