বাংলাদেশ-ভারতের টেস্ট সিরিজ শেষে মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। আগামী ৬ অক্টোবর মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আসন্ন এই ম্যাচটি বাতিলের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ ও তাদের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে প্রতিবাদ জানায় হিন্দু মহাসভা। এর জের ধরেই ম্যাচ বাতিলের দাবি তুলেছে তারা।
এর আগে কানপুর টেস্টে সফরকারী বাংলাদেশের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। তবে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, কানপুর টেস্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবে বাংলাদেশ দল। এজন্য আগামী ২৭ তারিখে মাঠে গড়াতে যাওয়া এই টেস্টের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
» উত্তরবঙ্গের মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে বিপিএলে আসছে ‘দুর্বার রাজশাহী’
» পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, মনে করেন নাফিস ইকবাল
কানপুর টেস্টের পাশাপাশি গোয়ালিয়রের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিও ঘিরে আগে থেকেই শঙ্কা ছিল। হিন্দু মহাসভা আগেই জানিয়েছিল এই ম্যাচটি বাতিলের চেষ্টা চালাবে তারা এবং সেই পথেই হাঁটছে এই রাজনৈতিক দলটি।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিন কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা, যাকে বলা হচ্ছে ‘গোয়ালিয়র বনধ’ অর্থাৎ গোয়ালিয়র বন্ধ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
এ বিষয়ে হিন্দু মহাসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছিলেন, হিন্দু নির্যাতনকারী কোনো দেশের বিরুদ্ধে এখানে ম্যাচটি হোক সেটি তারা চান। এজন্য ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তারা।
তবে এ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪সেপ্টেম্বর২৪/বিটি