চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একাদশের অন্যতম নাম তানজিদ হাসান তামিম। তামিম নামটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক পরিচিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক যুগেরও বেশি সময় দায়িত্বের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছেন তামিম ইকবাল খান। তবে এখন তিনি জাতীয় দলে খেলছেন না। তাই তামিম নাম শুনলে প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন তামিম?
তানজিদ তামিমের প্রথম আলোচনায় আসা যুব বিশ্বকাপ ২০২০ এর মাধ্যমে, যা হয়ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ওপেনার ছিলেন এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। তারপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। নিয়মিত খেলছেন বাংলাদেশের সকল শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট।
জাতীয় দলে অভিষেক হয় গত বছর আগস্টে, শেষ মুহূর্তে তামিম ইকবাল খান এর নাটকীয়ভাবে বাদ পড়ার পর তার পরিবর্তে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান তানজিদ তামিম। শুধু নামই নয় তাদের দায়িত্ব এবং খেলার পজিশনও একই।
যদিও ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি সুখকর নয় তামিমের, ৯ ম্যাচে মাত্র একটি অর্ধশতক এর সাহায্যে তার ব্যাটে আসে ১৫২ রান, ধুঁকতে থাকা একটি দলের জন্য যা মোটেই প্রশংসনীয় ছিল না।
টি-টোয়েন্টি ফরমেটে আবার আলোচনায় আসে তামিম সবশেষ বিপিএল টুর্নামেন্ট এর মাধ্যমে। খেলেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এর হয়ে, ১ শতক ও ২ অর্ধশতকের সাহায্যে ১২ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৮৪ রান। টুর্নামেন্ট শেষ করেন চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি একাদশে নিজের জায়গা পাকা করতে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে তাকে, বিশ্বকাপ অভিযান এর প্রস্তুতি সাপেক্ষে জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাঠে সিরিজে সুযোগ পান এই ওপেনার। প্রথম ম্যাচেই দলকে জেতান অপরাজিত ৬৭ রানের একটি ইনিংস খেলে, সিরিজে ৫ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেন ১৬০ রান।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিজের জায়গা অনেকটা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন তামিম। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন, সৌম্যের সাথে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে আছেন তিনি। দুই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওপেনারের বাজে ফর্মের কারণে নিয়মিত বাংলাদেশ ইনিংসের ওপেন করবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তার চেষ্টা থাকবে নিজেকে বিশ্বক্রিকেটে জানান দেওয়ার, উদীয়মান বাংলা টাইগার হিসেবে ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার। এখন দেখার পালা প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ করতে পারেন এই তরুণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ‘লড়াকু’ খেলার প্রশংসা করে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জুন২৪/বিটি