ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সেই রাতটা ভুলে যেতে চাইবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভক্ত-সমর্থকরা। হয়তো রোনালদো নিজেও এমন রাত আর মনে করতে চাইবেন না। গত শুক্রবার ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে পর্তুগালকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স।
সেদিন নিয়মিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পুরো ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ রোনালদো অবশ্য ঠিকই টাইব্রেকারে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন। কিন্তু জোয়াও ফেলিক্সের নেয়া তৃতীয় শটটি সরাসরি গোলপোস্টে গিয়ে আঘাত করে আর এতেই বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় পর্তুগালের।
সেই সঙ্গে গুঞ্জন শুরু হয়, শেষ ইউরো খেলে ফেলা রোনালদো এখানেই কী ফুল স্টপ দেবেন। এটাই কি জাতীয় দলের জার্সিতে রোনালদোর শেষ মেজর টুর্নামেন্ট?
সেই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্তিনেজকেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেছেন, এখনই জাতীয় দলে রোনালদো অধ্যায়ের ইতি ঘটছে না। তবে প্রশ্নের উত্তর পুরোপুরি দেননি তিনি।
জাতীয় দলের জার্সিতে ২১২ ম্যাচে পর্তুগিজ অধিনায়কের গোল ১৩০টি। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
আরো পড়ুন : জয় দিয়ে মেজর লিগে অভিষেক রাঙালেন সাকিব
চলতি ইউরোতে ইতিহাসে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেও রোনালদো মোটেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার এবারের আসরে গোলের খাতা না খুলেই বিদায় নিয়েছেন। তার ২০ বছরের ক্যারিয়ারে খেলা আন্তর্জাতিক কোনো মেজর টুর্নামেন্টে এই প্রথম গোলের দেখা পেলেন না। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের।
তবে সেবার অবশ্য এই ফ্রান্সকে হারিয়েই ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইউরো শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জুলাই২৪/এমএস