বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের ছোটখাটো যত সাফল্য আছে। সেগুলোর মধ্যে গত বছর নারী দলের সাফ শিরোপা জেতা অন্যতম। এই শিরোপা জয়ের যিনি কারিগর, আজ তিনি বড্ড অভিমানী। মাঠ ছেড়ে, শিষ্যদের ছেড়ে এখন তিনি দায়িত্বের বাইরে। তবে দায়িত্ব ছাড়লেও ছাড়েননি মাঠ। ছাড়েননি শিষ্যদের মায়া।
গতকাল রাজধানীর কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালের বিরুদ্ধে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে খেলছিলেন সাবিনা-মারিয়ারা। গোলের পর উল্লাসেও মেতে ওঠে বাঘিনীরা। কিন্তু ডাগআউটে ছিল না পরিচিত সেই মুখ। তখন মাঠের গ্যালারিতে দর্শকসারিতে দেখা মেলে গোলাম রব্বানী ছোটনের।
ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ সময়ের গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সাবিনাদের। ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরে ড্র করে বাংলাদেশ। ছোটন দায়িত্ব ছাড়ার পর যেন একটু কমেছে পারফরম্যান্স। কেননা যে নেপালের কাছে ঘরের মাঠে ড্র করেছে বাংলাদেশ, সেই নেপালকে হারিয়ে সাফ শিরোপা জিতেছিল মাসুরা-কৃষ্ণারা।
গ্যালারিতে দর্শকের আসনে বসে থাকা ছোটন শিষ্যদের খেলা দেখে সন্তুষ্ট। তবে কিছু ঘাটতি চিহ্নিত করেছেন। কয়েকজন দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাদের শূন্যতা দেখেছেন।
এদিকে ছোটনকে কাছে পেয়ে গ্যালারি থেকে দর্শকরা ছুটে এসে সেলফি তোলেন। কেউ কেউ আবার ‘ছোটন স্যারকে চাই, ছোটন স্যারকে চাই’ বলে স্লোগানও দেন। জাতীয় দলের কোচ হওয়া সত্ত্বেও ভিআইপি আসনে না বসে দর্শক সারিতে বসে ছোটন যেন জানিয়ে দিলেন, তোমাদের বিষন্ন দুপুরে, নরম রোদ হয়ে রবো আকাশে। তোমাদের জোছনা ধোয়া রাতে, হৃদয়েরই ছোঁয়া পাবে নিঃশ্বাসে।
আরও পড়ুন: শিরোপা জেতানো নারী ফুটবলারের মরদেহ মিলল নিজ ঘরে
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুলাই২৩/এসজে