আইপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে দলের সেরা দুই বোলারকে ছাড়াই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন পরিণতি হিসেবে বোলিং ব্যর্থতায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পায় ধোনির দল। যেখানে নিঃসন্দেহে মুস্তাফিজুর রহমানকে মিস করেছে চেন্নাই।
গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে হায়দরাবাদকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল চেন্নাই। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে রান ডিফেন্স করতে নেমে বোলিংয়ে চেন্নাইয়ের বড় দুর্বলতা চোখে পড়ে। হায়দরাবাদের কাছে চেন্নাই পরাজিত হয় ৬ উইকেটের ব্যবধানে তাও আবার ১১ বাল হাতে রেখেই।
এদিন মুস্তাফিজ ছাড়াও চোটের কারণে দলে ছিলেন না মাথিশা পাথিরানা। স্পষ্ট ভাবেই দলের অন্যতম সেরা এই দুই বোলারকে ছাড়া বেশ চাপে পড়েছিল চেন্নাই। তাদের পরিবর্তে দলে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে জায়গা পেয়েছিল মুকেশ চৌধুরী। তবে পাওয়ার প্লের ১ ওভারেই ২৭ রান হজম করায় তাকে আর বোলিংয়ে আনেননি ঋতুরাজ।
এই মাঠেই এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার রেকর্ড ৫২৩ রানের ম্যাচ খেলা হয়েছিল। তবে আজ একই মাঠে খেলা হলেও উইকেট ছিল ভিন্ন। যেখানে হায়দরাবাদের বোলাররা পেয়েছিল বেশ সুবিধা। উইকেটের আচরণ বিবেচনায় এটি হতে পারতো মুস্তাফিজের জন্য আদর্শ এক বোলিং পিচ।
এদিন ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই এক উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে হায়দরাবাদ। ম্যাচ অনেকটা সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যায়। চেন্নাই তিন পেস বোলার খেলালেও কেউ তেমন সুবিধা করতে পারেনি এই উইকেটে। দীপক চাহার এক উইকেট শিকার করলেও রান দিয়েছেন ওভার প্রতি ১০-র উপর।
এছাড়া এদিন দলে সুযোগ পেয়েছিলেন লঙ্কান রহস্যময় স্পিনার মাহিশ থিকশানা ও ইংলিশ স্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলি। সুযোগ পেয়ে দুজনেই ভালো বোলিং করেন। থিকশানা চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান খরচায় পান ১ উইকেট। অন্যদিকে তিন ওভারে ২৩ রান খরচ করে মঈন আলী তুলে নেন ২ উইকেট।
তবে পেস আক্রমণে তেমন কোন ভরসার নাম না থাকায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারেনি চেন্নাই। তাই আগামী সোমবার (৮ এপ্রিল) কলকাতা ম্যাচে অবশ্যই মুস্তাফিজকে দলে চাইবে চেন্নাই সুপার কিংস। এদিকে বিশ্বকাপের ভিসা প্রক্রিয়া করতে দেশে ফিরে আসায় এখনো সেই ম্যাচ খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে ফিজের।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ উইকেটের পরও ‘পার্পল ক্যাপ’ হারালেন মুস্তাফিজ
ক্রিফোস্পোর্টস/৬এপ্রিল২৪/এফএএস