শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনা টাইগার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চিটাগং কিংস। ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে চিটাগংকে ফাইনালের টিকিট এনে দিয়েছেন আলিস আল ইসলাম। এতে এক যুগ পর বিপিএলের ফাইনালে পা রেখেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে খেলতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে চার রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করে চিটাগং।
এদিন রানতাড়ায় নেমে ব্যর্থ হন টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। ইমন ৬ বলে ৪ এবং ক্লার্ক ৪ বলে রান করে ফিরেন। তবে তৃতীয় উইকেটে খাজা নাফি ও হুসাইন তালাতের ব্যাটে বিপত্তি সামাল দেয় চিটাগং। এই জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় চিটাগং।
আরও পড়ুন:
» পুরো পারিশ্রমিক পাননি চিটাগং কিংসের হোস্ট ইয়াশা সাগর!
» বিপিএলের ফাইনাল নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজর শান্তর
দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই জুটি তালাতকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ২৫ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটার। তবে তখনও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চিটাগংয়ের হাতেই ছিল। তবে এরপরই বাধে বিপত্তি। ১৩০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগং। একে একে শামিম পাটোয়ারি, খাজা নাফি, খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ মিথুন ফিরে যান। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে নাফির ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। তবে বাকিরা দুই অঙ্কের ঘর ছুতে পারেননি।
দ্রুত চারটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় খুলনা। তবে শেষদিকে আরাফাত সানি ও আলিস মিলে চিটাগংকে জয়ের আশা দেখান। শেষ ৩ ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। এরপর ১৮তম ওভারে ১৩ এবং ১৯তম ওভারে ৬ রান নেন তারা। এতে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল আরো ১৫ রান।
২০তম ওভারে মুশফিক হাসানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ওভারের প্রথম ৫ বল থেকে আসে ১১ রান। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ রান এবং আলিস চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। চিটাগংয়ের এই জয়ের নায়ক ৭ বলে ১৭ এবং আরাফাত সানি ১৩ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া মুশফিক ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩টি এবং নাসুম ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শিমরন হেটমায়ারের ৬৩, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৪১, নাইম শেখের ১৯ এবং অন্যান্য ব্যাটারদের ছোট ছোট ক্যামিওতে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা। চিটাগংয়ের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন বিনুরা ফার্নান্দো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইগার্স: ১৬৩/৬ (২০ ওভার)
চিটাগং কিংস: ১৬৪/৮ (২০ ওভার)
ফলাফল: চিটাগং কিংস ২ উইকেটে জয়ী
এর আগে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগংকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ফরচুন বরিশাল। এবার ফাইনালের মঞ্চে আবারও মুখোমুখি হবে এই দুই দল। আগামী শুক্রবার মাঠে গড়াবে ফাইনাল।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫ফেব্রুয়ারি২৫/বিটি