ব্যস্ত সূচির কারণে প্রায়শই দেখা যাই পুরো বছরই মাঠে নামতে হয় ফুটবলারদের। জাতীয় দল, ক্লাবের টানা ম্যাচ থাকার কারণে বিশ্রাম নিতে পারেন না খেলোয়াড়রা। এতে চোটের পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চোটের কারণে পাওয়া যাই না তারকা ফুটবলারদের।
আগামী নেশন্স লিগের দুই ম্যাচে ইউরো জেতা দল থেকে ৬ জনকে পাচ্ছে না স্পেন। খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নিতে পারেননা বিধায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে মনে করছেন, ক্লাবগুলোর উচিত তাদের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার। তার মতে, জাতীয় দলের বিশ্রাম দেওয়ার মত তেমন সুযোগ থাকে না।
ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি ও রেয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ইনজুরির আঘাতে পুরো মৌসুমে মাঠের বাইরে ছিলেন। এছাড়াও গোলরক্ষক উনাই সিমন, ডিফেন্ডার হবাঁন লু নহমাঁ, মিডফিল্ডার দানি ওলমো ও উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামসদের মত তারকা ফুটবলারদের পাচ্ছে না স্পেন। এতেই বিপাকে পড়েছে স্পেন।
আরও পড়ুন: মিরাজকে অধিনায়ক করে দলে ভেড়াল খুলনা
স্পেন ও বার্সেলোনার হয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচের ১২টিতেই মাঠে নেমেছেন লামিনে ইয়ামাল। এ সপ্তাহে এ তরুণ খেলোয়াড়কে ১০ নম্বর জার্সি দিয়েছে স্পেন। জাতীয় দলে অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে নেশন্স লিগের ম্যাচে রক্ষণভাগের দায়িত্ব থাকবে ১৭ বছর বয়সী এই ফরওয়ার্ডের উপর। লামিনে ইয়ামালের বিশ্রামের দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
চোট থেকে রক্ষা পেতে ফুটবলারদের বিশ্রামের বিকল্প নেই। এই বিষয়ে স্পেন কোচ লা ফুয়েন্তে বলেন,’ আমি মনে করি জাতীয় দলে ফুটবলাররা পুরো বছরে সামান্য সংখ্যক ম্যাচ খেলে। তাদের বিশ্রাম দেওয়ার দায়িত্ব ক্লাবগুলোর। লামিনের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, সে তরুণ এবং প্রত্যেকের খেলার সময় আমাদের পরিকল্পনা করে করতে হবে। তবে জাতীয় দলে এটা অনেক কঠিন। যদি বছরে ৭০টি ম্যাচ থাকলে, তাহলে এটা করা সহজ হতো। কিন্তু জাতীয় দলে মাসে দুটি ম্যাচ থাকে এবং আমরা প্রতিটি ম্যাচ বাছাইপর্বের জন্যই খেলা হয়।’
ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, খেলোয়াড়রা মাত্র ৩.৫ শতাংশ ম্যাচ জাতীয় দলের হয়ে খেলে। তাই তাদের টাইম ম্যানেজমেন্ট করা বা না করার দায়িত্ব জাতীয় দলের উপর থাকে না। যেহেতু খেলোয়াড়রা ক্লাবের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলে তাই তাদের এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করা উচিত।
ক্রিফোস্পোর্টস/১২অক্টোবর ২৪/এইচআই