Connect with us
ফুটবল

ইংল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক

সেমিফাইনালে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মুহূর্ত। ছবি- সংগৃহীত

ম্যাচের ৯০ তম মিনিটে ওল্লি ওয়াটকিন্স ডাচদের জালে বল জড়াতেই জয় উৎসবে মেতে ওঠে গোটা ইংল্যান্ড। সেই গোল থেকেই নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ইংলিশরা। তবে ম্যাচ শেষে রেফারির প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছে ডাচ ফুটবলাররা। কেননা যেই পেনাল্টি থেকে ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম গোল পেয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে বিতর্ক।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে শুরুর দিকে ডাচদের আচমকা কিছু আক্রমণে বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে ইংলিশ শিবির। আর সেখানেই ম্যাচের ৭ম মিনিটে গোল হজম করে বসে ইংল্যান্ড। মাঝ মাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে এগিয়ে যান জাভি সিমন্স। রক্ষণের বাধা উপেক্ষা করে বক্সের কাছ থেকে জোরালো শটে ইংলিশ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি।

তবে ম্যাচে ফিরতে বেশি দেরি করেনি ইংল্যান্ড। মিনিট ছয়েক বাদেই পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। ডাচদের বক্সের মধ্যে থেকে নেয়া বুকায়ো সাকার শট রক্ষণে বাধা পেয়ে ফিরে আসে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনের কাছে। দ্বিতীয় দফায় তিনি শট নিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার। মূলত কেইনের নেয়া শট ঠেকানোর চেষ্টায় পা বাড়ান ওই ফুটবলার। কেইনের নেয়া শটের লাথি ডিফেন্ডারের পায়ের সঙ্গে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কেইন।

এরপর ভিএআর-এর মাধ্যমে বিষয়টি দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। বিষয়টি ভালো ভাবে নেয়নি ডাচ ফুটবলাররা। এতে শুরু হয় বিতর্ক। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজিয়েই টানেলের দিকে হাঁটতে থাকেন রেফারি ফেলিক্স জয়ার। তাঁর দিকে ছুটে গিয়ে কিছু বলতে থাকেন ডাচ অধিনায়ক ভির্জিল ভ্যান ডিহিক। ইউরোর সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের জন্য রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তিনি।

ইংল্যান্ডের পেনাল্টি প্রাপ্তির ঘটনা।

শুধু নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা নয় অসংখ্য ফুটবল দর্শক প্রশ্ন তুলেছে রেফারির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ফুটবলপ্রেমীরা সমালোচনা করছেন সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে রেফারির উপহার দেওয়া সেই পেনাল্টি প্রসঙ্গে। বিভিন্ন ফুটবল বিশ্লেষকও রেফারির এমন সিদ্ধান্তে নিজেদের অবাক হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে চলছে তুমুল আলোচনা।

শুধু পেনাল্টি নয়, গোটা ম্যাচে আরও অনেক সিদ্ধান্তই নিজেদের বিপক্ষে গিয়েছে বলে মনে করেন ডিসিক। ম্যাচ শেষে ডাচ অধিনায়ক বলেন, ‘শেষ বাঁশি বাজিয়েই রেফারি টানেলে ঢুকে গেল। এটাই বলে দেয় সব কিছু। আমার আর কিছু বলার নেই। ম্যাচের শেষবেলায় গোল খাওয়া সত্যিই কষ্টের। আমাকে এখানে এসে বলতেই হবে। সেটা আমার কর্তব্য। কিন্তু কী বলব আমি জানি না।’

আরও পড়ুন: রিয়ালে কত নম্বর জার্সি পাচ্ছেন এমবাপ্পে, অবশেষে জানা গেল

ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুলাই২৪/এফএএস

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ফুটবল