শুরু হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। দিনের শুরুতেই বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুন ক্রিকেট উপহার দিয়েছে আইসিসির দুই সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। প্রথম ম্যাচে কানাডার দেওয়া ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য রীতিমতো রেকর্ড গড়েই টপকে গিয়েছে চলতি আসরের স্বাগতিক দল।
আজ রোববার (২ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ক্রিকেটের নবাগত এই দুই দল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা কোন দেশেই ক্রিকেট তেমন জনপ্রিয় খেলা নয়। তবে বিশ্ব আসরের শুরুতেই অসাধারণ ক্রিকেট খেলে সকলের নজর কেড়েছে তারা।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা উভয় দেশেই ক্রিকেটের বিকাশ হচ্ছে দেশ দুটিতে থাকা অভিবাসী ক্রিকেটারদের হাত ধরে। যেখানে দুই দলেই থাকছে বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়। অবাক করা বিষয় বিশ্বকাপে রান বন্যার সেই উদ্বোধনী ম্যাচে দুই দলের হয়ে মাঠে নেমেছিল ভিন্ন দশ দেশে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার।
এছাড়াও মজার ব্যাপার ছিল উভয় দলের অধিনায়ক ছিলেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের বংশোদ্ভুত খেলোয়াড়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র দলের নেতৃত্বে থাকা মোনাঙ্ক প্যাটেলের জন্ম ভারতে। অন্যদিকে কানাডার অধিনায়কত্ব করেছেন পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারী সাদ বিন জাফর।
স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র দলের একাদশে স্টিভেন টেইলর, অ্যারন জোন্স এবং জাসদীপ সিংয়ের জন্মই যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। বাকিদের মধ্যে অধিনায়ক মোনাঙ্ক ছাড়াও হারমিত সিং ও সৌরভ নেত্রাভালকারের জন্ম ভারতে। নিতিশ কুমারের জন্ম কানাডায়, আন্দ্রেইস গাউস ও শ্যাডলি ফন স্ক্যালওয়াকের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এবারের আসরে খেলছেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। যিনি এর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপও খেলেছেন। পেস আক্রমণে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলি খান যার জন্ম পাকিস্তানে। অনেকটা একই অবস্থা ছিল কানাডা দলের একাদশেও।
উদ্বোধনী ম্যাচের একাদশে খেলা নাভনিত ধালিওয়াল, শ্রেয়াস মোভা, প্রাগাত সিং ও দিলপ্রীত বাজওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ওপেনার অ্যারন জনসনের জন্ম জ্যামেইকায় এবং নিকোলাস কিরটনের জন্ম বার্বাডোজে। ডিলন হেইলিগার ও জেরেমি গর্ডনের জন্ম আরেক ক্যারিবীয় দেশ গায়ানায়। এছাড়া নিখিল দত্ত জন্মগ্রহণ করেছেন কুয়েতে।
আরও পড়ুন: সামর্থ্য থাকলেও ধারাবাহিকতা নেই বাংলাদেশের : যুবরাজ
ক্রিফোস্পোর্টস/২জুন২৪/এফএএস