Connect with us
ক্রিকেট

গত বিশ্বকাপের টাকা এখনো পায়নি ক্রিকেটাররা, কী বলছে বিসিবি?

ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল। ছবি- সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে দেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই। বিভিন্ন সংগঠনের কর্তাব্যক্তি যারা সরাসরি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা এখন রয়েছে আত্মগোপনে, আবার কেউ ছেড়েছেন দায়িত্ব। বিসিবি সভাপতিসহ একাধিক বোর্ড পরিচালকও রয়েছেন সকলের আড়ালে।

আইসিসির আইন মেনে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের মাধ্যমেই পরিবর্তন আসতে পারে দেশের অন্যতম এই ক্রীড়া সংগঠনে। তবে এরই মাঝে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ক্ষমতা হ্রাস হওয়ার পর থেকেই উঠে আসছে দীর্ঘদিন যাবত বিসিবিতে চলা অসংখ্য অন্যায়-অনিয়মের খবর। একাধিক বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারসহ সংগঠকরাও প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন বিষয়ে। যেখানে উঠে এসেছে নতুন একটি ইস্যু।

গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল অভিযোগ করেছিলেন, গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের টাকা এখনও বুঝে পায়নি দেশের ক্রিকেটাররা। মূলত আইসিসির চুক্তি অনুযায়ী ৫০ দিনের মধ্যে সেই টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন দেবব্রত পাল। তবে ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপের সেই টাকা এখনও বন্টন করা হয়নি খেলোয়াড়দের মাঝে।

মূলত ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপের মূল পর্বে কেবল অংশ নেয়ার জন্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১ লাখ মার্কিন ডলার প্রাইজমানি। এছাড়া দুই ম্যাচ জেতায় ৪০ হাজার করে আরও ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি পায় বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার পাবে বিসিবি। যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা।

এদিকে এই বিষয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও বিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে ভিন্ন কথা। যেখানে বলা হচ্ছে মূলত আইসিসি থেকেই এখনও টাকা বুঝে পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই সূত্র কারণও জানিয়েছেন এখনো ভারত বিশ্বকাপের টাকা হাতে না পাওয়ার। যেখানে প্রক্রিয়াগত জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

বিসিবির সেই সূত্রের ভাষ্য মতে, ‘আইসিসি এখনো বিসিবির কাছে টাকা পাঠায়নি। এটি মূলত একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়। গত মাসে সেই টাকা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ট্যাক্স ডিডাকশন, কিছু ফাইন্যান্সিয়াল কমপ্লায়েন্স আছে। প্রাইজমানি প্রদান করতে সেখানে ভারতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম পর্যন্ত নিয়োগ দিতে হয়েছে।’ 

বাংলাদেশের আগে শ্রীলঙ্কা কেন টাকা পেয়েছে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিসিবির সেই সূত্র, ‘আর্থিক লেনদেনের এই প্রক্রিয়া একেক দেশে একেকরকম হয়ে থাকে। যাদের সঙ্গে প্রক্রিয়াটা মোটামুটি সহজ হয়, সেসব দেশে আগে টাকা পাঠায় আইসিসি। আর যাদের সাথে প্রক্রিয়াটা একটু জটিল, তাদের সঙ্গে কিছুটা বিলম্ব হয়ে থাকে।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হালকা ভাবে দেখতে নারাজ শান মাসুদ

ক্রিফোস্পোর্টস/১২আগস্ট২৪/এফএএস

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট