
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০ ঊর্ধ্ব কোন ক্রিকেটারকে দেখলেও প্রথমে মাথায় আসে, হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই অবসরে যাবেন তিনি। কেননা অধিকাংশ ক্রিকেটার তার আগেই সরে দাঁড়ান জাতীয় দল থেকে। তবে অদ্ভুত এক ঘটনা সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে। যেখানে দেখা যায় ৬২ বছর বয়সে অভিষেক হয়েছে এক প্রবীণ ক্রিকেটারের।
ফকল্যান্ড আইল্যান্ডসের ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ব্রাউনলি এই বিরল কীর্তি গড়েছেন। গত ১০ মার্চ কোস্টারিকার গুয়াসিমায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন তিনি। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচেই ৬২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ব্রাউনলির। তবে এই খবর জানাজানি হতে লেগে যায় আরও ছয় দিন।
ফকল্যান্ড ও কোস্টারিকার মধ্যে ছয় ম্যাচের সিরিজে তিনটি ম্যাচে অংশ নেন ব্রাউনলি। সর্বশেষ তিনি মাঠে নেমেছেন ১২ মার্চ, সেদিন তাঁর বয়স ছিল ৬২ বছর ১৪৭ দিন। এই বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করে তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটারের রেকর্ড গড়েছেন।
আরও পড়ুন:
» বাংলায় কথা বললেন হামজা চৌধুরী, ভারত ম্যাচ নিয়ে দিলেন বার্তা
» অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী
এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল তুরস্কের ওসমান গোকেরের দখলে। ২০১৯ সালে ৫৯ বছর ১১৮ দিন বয়সে রোমানিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। ব্রাউনলি এখন সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখনো ইংল্যান্ডের উইলফ্রেড রোডসের। ১৯৩০ সালে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামার সময় তাঁর বয়স ছিল ৫২ বছর ১৫৬ দিন। অন্যদিকে, ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলার রেকর্ড নেদারল্যান্ডসের নোলান ক্লার্কের। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার সময় তাঁর বয়স ছিল ৪৭ বছর ২৫৭ দিন।
অ্যান্ড্রু ব্রাউনলির এই কীর্তি প্রমাণ করে যে বয়স শুধুই একটি সংখ্যা। তাঁর এই অভিষেক শুধু ফকল্যান্ড আইল্যান্ডসের জন্যই নয়, পুরো ক্রিকেট বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা। ব্রাউনলি দেখিয়েছেন যে ক্রিকেট খেলার কোনো বয়স নেই, যদি থাকে শুধুই আগ্রহ এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭মার্চ২৫/এফএএস
