এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম আসর শুরু হয়েছে আজ থেকে। প্রথম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন ব্যাটাররা। যেখানে শেষ মুহূর্তের টানটান উত্তেজনাও বিরাজ করেছে। সিলেটের বিপক্ষে শেষ বলের ছক্কায় ম্যাচ জিতে নিয়েছে ঢাকা।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া এনসিএলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই রীতিমতো ছড়িয়ে রোমাঞ্চকর উত্তেজনা। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে যায় সিলেট। আগে ব্যাট করে তরুণ ব্যাটার জিসান আলমের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তুলেছে চায়ের দেশের দলটি। ইনিংসে ৪টি চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০০ রান করেন জিসান।
এদিকে সিলেটের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিসানের মতোই আগ্রাসী রূপে খেলতে শুরু করেন ঢাকার ব্যাটার আরিফুল ইসলাম। মাত্র ৪৬ বলে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন তিনি। এমন আগ্রাসী ব্যাটিং করেও শেষ পর্যন্ত ৬ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। যদিও দিন শেষে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছে আরিফুলের দল ঢাকা।
আরও পড়ুন :
» বাংলাদেশের বিপক্ষে এক দশক অপেক্ষার অবসান ওয়েস্ট ইন্ডিজের
» বার্সেলোনার ম্যাচসহ আজকের খেলা (১১ ডিসেম্বর ২৪)
আজ (বুধবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং নামে স্বাগতিক দল। আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তৌফিক ও জিসানের ব্যাটে আসে ৪৯ রান। শুরুতে কিছুটা ধীরে ব্যাট করলেও পরবর্তীতে শুরু করেন বিধ্বংসী ব্যাটিং।
এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে প্রথম সেঞ্চুরিটা আসে জিসানের ব্যাট থেকেই। যেটা করতে তাঁকে খেলতে হয়েছে ৫২টি বল। প্রথম অর্ধশতক পূরণে জিসানকে খেলতে হয়েছে ৪০টি বল। কিন্তু পরের অর্ধশতক পূরণে তিনি খেলেছেন মাত্র ১২টি বল। সেঞ্চুরি করার পরের বলেই নাজমুল হোসেন অপুর বলে আউট হন এই তরুণ ব্যাটার।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিজের মারকুটে ব্যাটিংয়ের ঝলক দেখান জিসান। আরাফাত সানির করা ওই ওভারে পাঁচ ছক্কাসহ করেছেন ৩২ রান। এর পরের ওভারে আবার সুমন খানের ওপর চড়াও হয়ে টানা দুই ছক্কাসহ ওই ওভারেই নিজের শতক পূর্ণ করেন এই ব্যাটার।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটাই জিসানের প্রথম সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪র্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন (৪২ বলে)। এরপরে রয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল (৫০ বলে)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫১ ও ৫২ বলে দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশ দলের এই নিয়মিত অধিনায়ক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। দলীয় ২ রানের মাথায় আউট হন ওপেনার সাইফ হাসান। এর কিছুক্ষণ ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলীও। এরপরই সিলেটের উপর দিয়ে বয়ে আরিফুল ঝড়। জিসানের থেকেও বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কায় করেন ৯৪ রান। সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ব্যাটিং করেছেন ২০৪.৩৫ স্ট্রাইক রেটে।
কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকাকে দিতে চরম ধৈর্যের পরীক্ষা। শেষ ওভারে ঢাকার দরকার ছিল ১২ রান যেখানে তোফায়েল আহমেদের করা প্রথম ৫ বলে ঢাকা তুলতে পারে ৭ রান। এরপর শেষ বলে ঢাকার দরকার ছিল ৫ রান। ফলে শেষ বলে ছক্কা মেরে ঢাকাতে ম্যাচ জেতান অভিজ্ঞ ব্যাটার শুভাগত হোম।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১ডিসেম্বর২০২৪/এসআর/এসএ