Connect with us
ক্রিকেট

সমালোচনার তোপে নাসাউ স্টেডিয়ামে বসানো ড্রপ-ইন পিচ

Nassau County International Cricket Stadium
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে নিউইয়র্কে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়। দেশটিতে হতে যাওয়া ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৮ ম্যাচই এই নবনির্মিত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সৌন্দর্যের দিক থেকেও মাঠটি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ এই মাঠে সম্পন্ন হওয়ার পরই সমালোচনার মুখে পড়েছে স্টেডিয়ামটি।

প্রশ্ন উঠেছে – আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্টে মাঠের যেমন পিচ তৈরি করা হয়, নাসাউর ড্রপ-ইন পিচ ঠিক যেন তার উল্টো। বিশ্বকাপের আগে ভারত-বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে মাঠটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। তারপর বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই এমন সমালোচনা উঠেছে মাঠটিকে ঘিরে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে ভারতের ব্যাটাররা ভালো ব্যাট চালালেও টাইগার ব্যাটাররা রীতিমতো খাবি খেয়েছে উইকেটে এসে। অল আউট হয়েছে মাত্র ১২২ রানে।

এরপর গতকাল (সোমবার) নাসাউ মাঠে খেলা ছিল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই ম্যাচটি দেখার পরই আইসিসিকে প্রশ্ন বাণে জর্জরিত করা হচ্ছে। ইনিংসের শুরুতে ব্যাট করতে এসে ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। জবাবে প্রোটিয়াদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ দেখে মনে হচ্ছিল, নিমিষেই লক্ষ্য পাড়ি দিতে পারবেন হেইনরিখ ক্লাসেন-এইডেন মার্করামরা। কিন্তু এই মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। বল খেলতে হয়ে ১৬.২ ওভার পর্যন্ত।

আরো পড়ুন : নিউইয়র্কের পার্কে রোহিতদের অনুশীলন করা নিয়ে দ্রাবিড়ের বিস্ময়!


এই মাঠের ড্রপ-ইন পিচে অতিরিক্ত বাউন্স থাকায় পেসারদের সামনে ব্যাটারদের টেকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর এর আউটফিল্ডও তেমন দ্রুত না। আর এমন পেস সহায়ক উইকেট যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বান্ধব না, সেটাও ম্যাচ শেষে জানান প্রোটিয়া কাপ্তান এইডেন মার্করাম। তাই তো বিশ্বকাপের এক ম্যাচ আয়োজন করেই নেতিবাচকতার মুখে পড়তে হয়েছে মাঠটিকে। ম্যাচ শেষে মার্করাম বলেন, ব্যাটারদের জন্য এই উইকেটে ব্যাট করা অনেক কঠিন।

সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি এই উইকেটকে ‘স্পাইসি’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভারতের বিখ্যাত ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে টুইটারে লিখেছেন, একটি নতুন দেশে এভাবে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উপায়টা সঠিক কি না তা নিয়ে আমি সন্দিহান। এই মাঠে ড্রপ-ইন পিচ বসানোর দায়িত্ব ছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালের বিখ্যাত কিউরেটর ড্যামিয়েন হফের কাঁধে।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি এই নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ জুন। ঠিক পরের দিনই (১০ তারিখ) টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

ক্রিফোস্পোর্টস/০৪জুন২৪/এমএস

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট