‘ইট ইজ কামিং হোম, ইট ইজ কামিং হোম’ ইউরো এলেই আপনার এমন বিশেষ স্লোগান মনে পড়ে যাওয়ার কথা৷ ইংল্যান্ড সমর্থকদের মুখ থেকে এই স্লোগান অবশ্য এখনো কাজে দেয়নি৷ ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট একবারও পরা হয়নি থ্রি লায়ন্সদের৷
ইউরোর আরও একটি বিশেষত্ব— ইউরোপের বড় দলগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক ছোট দলের সমানে-সমান লড়াই। যে কোনো দলই চমকে দিতে পারে টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলকে৷ যেমনটা ২০২৪ ইউরোতে করে দেখাল তুরস্ক ও প্রথম বারের মতো ইউরোতে অংশ নেওয়া জর্জিয়া৷
ইউরোতে মাঠের ফুটবলীয় লড়াই ছাড়াও দর্শকদের কৌতূহল থাকে এর প্রাইজমানির দিকে৷ প্রতি আসরেই কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ হয় টুর্নামেন্টের জন্য। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোর এবারের আসরের শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে উয়েফা৷ সাফল্যের ভিত্তিতে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ২৪টি দলের জন্য সর্বমোট ৩৩১ মিলিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪১৯১ কোটি টাকা৷
২০২০ সালের ইউরোতে সমপরিমাণ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল উয়েফা৷ সেবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়েম্বলি থেকে শিরোপা রোমে নিয়ে যায় রবার্তো মানচিনির ইতালি৷
আরও পড়ুন :
» এলপিএলে খরুচে বোলিংয়ের পরেও জিতেছে মুস্তাফিজের দল
» পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের খেলা নিয়ে দোটানা, সমাধান কি?
» কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যা বললেন ব্রাজিল কোচ
» তুরস্ককে হারিয়ে দুই দশক পর সেমিতে উঠল নেদারল্যান্ডস
এবারের ইউরোতে নাম লেখানো ২৪টি দলের পকেটে যাবে ৯.২৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ কোটি টাকা৷ শুধু তাই নয়, গ্রুপপর্বে প্রতি ম্যাচে জয়ের জন্য থাকছে ১ মিলিয়ন ইউরো, ড্রয়ের ক্ষেত্রে দুদলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ইউরো৷
গ্রুপ পর্বে শীর্ষ দুই দলসহ সেরা তিনে থাকা দলগুলো নিয়ে গড়ানো রাউন্ড অব সিক্সটিনে থাকছে মোটা অঙ্কের অর্থ৷ গ্রুপপর্বের বাধা পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা প্রত্যেক দলের জন্য থাকছে ১.৫ মিলিয়ন ইউরো৷ প্রথম বারের মতো ইউরো খেলতে আসা জর্জিয়া রূপকথার মতো জায়গা করে নিয়েছে ইউরোর রাউন্ড অব সিক্সটিনে। তবে স্পেনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে দলটি৷
রাউন্ড অব সিক্সটিনের লড়াইয়ে কাটা পড়ে ৮ দলের নাম৷ বাকি ৮ দলের জায়গা হয় কোয়ার্টার ফাইনালে৷ সেখানেই প্রতি দলের জন্য থাকছে ২.৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার সমান৷ কোয়ার্টার ফাইনাল পেরিয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখানো প্রতি দলের পকেটে যাবে ৪ মিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা৷
নানা রোমাঞ্চকর ও স্নায়ু চাপের মুহূর্তকে সঙ্গী করে টুর্নামেন্টের সেরা দুই দল অংশগ্রহণ করে ফাইনালে৷ ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরা চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ৮ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মু্দ্রায় যা ৯৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা৷ রানার্সআপ দলের জন্য থাকছে ৫ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা৷
ক্রিফোস্পোর্টস/৮জুলাই২৪/টিএইচ/এসএ