এবার ইরানের তেহেরানি আয়োজিত এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে একাধিক পদক নিয়ে দেশে ফিরেছেন অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটিক্স দল। বাংলাদেশের হয়ে এই আসর থেকে ভিন্ন দুই ইভেন্ট থেকে পদক জিতেছেন জহির রায়হান এবং মাহফুজুর রহমান।
আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে দৌড়ে ব্যাস্ত সময় পার করেছে ক্ষুদে অ্যাথলেটরা। এদিন পাশে দাঁড়িয়ে ছোটদের দেখেছেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে পদক জয়ী জহির এবং মাহফুজুর। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে জুনিয়র জুনিয়র অ্যাথলেটরা।
এশিয়ান পর্যায়ে ভালো করায় ভবিষ্যতে আরও দূরে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন জহির-মাহফুজুরের।নিজেদের উন্নয়নে কিছু চাহিদার কথা তুলে ধরেছেন তারা। উভয়ই মনে করেন নিয়মিত অনুশীলন এবং পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সফল হওয়া সম্ভব। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, তারা যে প্রত্যাশা করছে, এটা খুবই স্বাভাবিক এবং ন্যায্য। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করছি তাদের চাহিদা পূরণের। একটা পরিকল্পনা আমাদের সভাপতিকে দেওয়া হবে। সভাপতি অবশ্যই সেটা বাস্তবায়নে সহায়তা করবেন।’
এছাড়াও তিনি নিজেদের প্রাথমিক পরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে জহির-মাহফুজের সঙ্গে প্রতিভাবান রিতু, রুমকিসহ আরও কয়েকজনকে ভারতে কয়েক মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতে পারে। এছাড়াও স্প্রিন্টের বাইরের বিভিন্ন ইভেন্ট, যেমন হাইজাম্প, লংজাম্প, থ্রো এবং অন্য ইভেন্টে গুলোতেও বিশেষ নজর দেওয়ার কথা।
নিজেদের আবাসন সমস্যাও অকপটে স্বীকার করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, ‘আমাদের আবাসন সমস্যা রয়েছে। এখানে অ্যাথলেটরা অনুশীলন করছে। তবে থাকতে হচ্ছে ভলিবল বা অন্য কোনো স্থাপনায়। আবাসনের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণও সংকট। এরপরও আমরা মেধাবীদের অ্যাথলেটিক্সে ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
উল্লেখ্য, ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠেয় ১১তম এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসের হাইজাম্পে ২.১৫ মিটার লাফিয়ে বোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন মাহফুজুর রহমান। এর আগে ৪০০ মিটার ইভেন্টের ফাইনালে দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্য পদক জিতেছেন বাংলাদেশের আরেক অ্যাথলেট জহির রায়হান।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইনডোরে পদক জিতল বাংলাদেশের জহির রায়হান
ক্রিফোস্পোর্টস/২১ফেব্রুয়ারি২৪/এফএএস