আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে রেকর্ড বিতর্কের শিকার হয়েছেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহোচ। এক ম্যাচেই রেকর্ড ১৭টি হলুদ কার্ড দিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় বিঁধে আছেন তিনি। তার রোষানল থেকে মুক্তি পাননি লিওনেল মেসিও। পরে ম্যাচ শেষে রেফারির আস্বাভাবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মেসি।
পরে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রেফারি লাহোচকে অযোগ্য বলে সমালোচনা ফটবল ছন্দের যাদুকর খ্যাত মেসি।
এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। সেই ম্যাচটির ভিডিও বিশ্লেষণ করেছে ফিফার রিভিউ কমিটি। এতে ম্যাচ রেফারি লাহোচের দোষ বেশি পাওয়া যায়। এর পরই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় ফিফা। খবর: মিরর অনলাইন।
এদিকে ফিফার ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনে মেসির দোষ বেশি পাওয়া গেলে সেমির খেলা থেকে ছিটকে যেতেন তিনি। তবে তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ফলে ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে ফিফা।
ফিফা রিভিউ কমিটি জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ভুল কারণে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন লাহোচ। তাই তাকে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেসিকে দলে ফেরাতে মরিয়া বার্সেলোনার নতুন পরিকল্পনা
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে চড়ে চরে বসেছে ফিফা। এর ফলে সেমিতে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে সাবধান হচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ কর্তারা। সেমির প্রথম ম্যাচটি পরিচালনায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইতালিয়ান রেফারি দানিয়েল ওরসাতোকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১২ডিসেম্বর২২/এসএ