নিউক্যাসল ইউনাইটেড তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আর্সেনালকে ২-০ গোলে পরাজিত করে কারাবাও কাপের ফাইনালের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। আলেকজান্ডার ইসাকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং অ্যান্থনি গর্ডনের নির্ভুল ফিনিশিং নিউক্যাসলের ফাইনালের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই জয় শুধু নিউক্যাসলের জন্যই নয়, তাদের সমর্থকদের জন্যও এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দীর্ঘদিন ধরে শিরোপাহীন থাকা ক্লাবটি এবার ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
আর্সেনাল ম্যাচটি জয়ের জন্য ফেভারিট ছিল। তবে তাদের আক্রমণভাগে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি এবং সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যর্থতা তাদের জন্য হতাশাজনক ফল নিয়ে আসে।
নিউক্যাসলের হয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে প্রথমার্ধের শেষভাগে। মার্টিন দুব্রাভকার নেওয়া একটি লম্বা ফ্রি-কিক স্বেন বটম্যান হেড দিয়ে জ্যাকব মারফির দিকে পাঠান। মারফির পাস থেকে আলেকজান্ডার ইসাক নিখুঁতভাবে আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়ার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান।
দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে। ইসাকের একটি শট ডেভিড রায়া ঠেকালেও রিবাউন্ড থেকে অ্যান্থনি গর্ডন বলটি জালে পাঠান। আর্সেনাল অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করলেও তাদের শটগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কাই হাভার্টজ একটি সহজ হেড মিস করেন, যা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
নিউক্যাসলের রক্ষণের প্রশংসা করতে হবে। ড্যান বার্ন, স্বেন বটম্যান, এবং কিয়েরান ট্রিপিয়ার পুরো ম্যাচে অসাধারণ রক্ষণভাগ সামলেছেন। তারা আর্সেনালের আক্রমণগুলো একের পর এক ব্যর্থ করে দিয়েছেন। নিউক্যাসল কোচ এডি হাও কৌশলগতভাবে দলে পরিবর্তন এনে আক্রমণ ও রক্ষণ উভয় দিকেই ভারসাম্য বজায় রেখেছেন। তার এই কৌশল দলকে দ্বিতীয় লেগের আগে একটি বড় সুবিধা এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
» নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচসহ আজকের খেলা (৮ জানুয়ারি ২৫)
» এক নজরে সারা দিনের আলোচিত খেলার খবর (৭ জানুয়ারি ২০২৫)
আর্সেনাল দীর্ঘদিন ধরেই আলেকজান্ডার ইসাককে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। এখন ইসাক নিউক্যাসলের হয়ে মাঠে পারফর্ম করছেন এবং বারবার প্রমাণ করছেন যে আর্সেনাল তাকে না নিয়ে বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
ইসাক চলতি মৌসুমে ১৫টি গোল করেছেন এবং তার ধারাবাহিক ফর্ম নিউক্যাসলের টানা সাত ম্যাচ জয়ের পেছনে বড় অবদান রেখেছে। নিউক্যাসল ইউনাইটেড ২০২৩ সালে কারাবাও কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে গিয়েছিল। এবার দলটি আরো আত্মবিশ্বাসী এবং ফাইনালে জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
ইতিহাস বলছে, সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে দুই গোলের লিড নিয়ে যারা এগিয়ে ছিল, তারা প্রত্যেকেই ফাইনালে পৌঁছেছে।আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সেন্ট জেমস পার্কে দ্বিতীয় লেগটি অনুষ্ঠিত হবে। নিউক্যাসল সমর্থকরা এখন সেই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছেন।
নিউক্যাসলের জন্য এটি শুধুমাত্র একটি কাপ ফাইনালের সুযোগ নয়, বরং তাদের দীর্ঘদিনের ট্রফির খরা কাটানোর সুযোগও। আর আলেকজান্ডার ইসাকের মতো খেলোয়াড়রা দলটিকে এই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে পারেন। এবারের ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হবে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১৬ মার্চ। যদি নিউক্যাসল সেখানে পৌঁছায়, তবে এটি তাদের জন্য এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮জানুয়ারি২৫/আইআর/এফএএস