বয়সটা ২২ বছর ৩৪৯ দিন। বয়সের হিসেবে সে নিতান্তই তরুণ। তবে তিনি ব্যাট দিয়ে রীতিমতো প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের শাসন করে চলেছে। এই গুরবাজই যেন আফগানদের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ। চলতি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে তাসকিনের কাছে পরাস্ত হলেও শেষ ম্যাচ তাসকিন না থাকায় গুরবাজও তুলে নিয়েছেন নিজের ৮ম সেঞ্চুরি। আর তাতেই গড়ে ফেলেছেন অনন্য কীর্তি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গুরবাজকে একক বোলার হিসেবে যে খেলোয়াড়টি সবচেয়ে বেশি প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন তিনি হলেন তাসকিন আহমেদ। চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও তাসকিনের শিকার হতে হয়েছে গুরবাজকে। যদিও শেষ ম্যাচে তাসকিনের অভাবে নিজের ৮ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে রেকর্ড পাতায় নাম লিখিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ২২ বছর ৩৪৯ দিনেই ৮ম সেঞ্চুরির মালিক হয়ে তিনি পিছনে ফেলেছেন শচীন-কোহলি-বাবরের মতো তাঁরকাদের। তাঁর থেকে কম বয়সে সেঞ্চুরি করে এক নম্বর স্থানে আছেন কুইন্টন ডি কক।
২২ বছর ৩১২ দিনে ৮ম সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ক্রিকেটার এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। আর ২২ বছর ৩৪৯ দিনে এই কীর্তি গড়ে ২ নম্বরে উঠে এসেছে গুরবাজ। ২২ বছর ৩৫৭ দিনে এই কীর্তি গড়েছিলেন সাবেক ভারতীয় গ্রেট এবং ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ খ্যাত শচীন টেন্ডুলকার। তিনি রয়েছেন ৩ নম্বরে। এরপরই ২৩ বছর ২৭ দিনে ৮ম সেঞ্চুরি করে ৪র্থ অবস্থান করছে শচীনের উত্তরসূরী ভিরাট কোহলি। তালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেটার বাবর আজম। ৮ম সেঞ্চুরি করতে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৩ বছর ২৮০ দিন।
এর আগে ৭ম সেঞ্চুরি করার সময় তিনি বনে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়। এবার তো নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। ৮ম সেঞ্চুরির মালিক হয়ে শুধু নিজের দেশেরই নয় বরং যাদের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছেন সেই বাংলাদেশের তামিম, সাকিব, মুশফিক বাদে বাকি কেউ গুরবাজের ধারেকাছে নাই।
এদিন গুরবাজ ৪৬ ম্যাচে ৮ম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। এছাড়াও ৪৩ ম্যাচে ৮ম সেঞ্চুরি করে ১ নম্বরে আছেন হাশিম আমলা এবং ১ ম্যাচ বেশি খেলে অর্থাৎ ৪৪ ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েন বাবর আজম।
আরো পড়ুন : মেসি বা আর্জেন্টিনার জার্সিতে ঢোকা যাবে না স্টেডিয়ামে!
ক্রিফোস্পোর্টস/১২নভেম্বর২৪/এসআর