লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠ মাতাবেন লেস্টার সিটির ডিফেন্ডার হামজা দেওয়ান চৌধুরী, এমনটাই চাওয়া বাংলাদেশের কোটি ফুটবল ভক্তের। খুব শীঘ্রই দেশের হয়ে খেলবেন এই তারকা ফুটবলার তেমনটাই আশা করা যায়। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ফিফা উইন্ডোতে দেখা যেতে পারতো তাকে। তা নাহলেও হয়তো খুব বেশি দেরি করতে হবে না দেশের ফুটবল প্রেমীদের।
এদিকে প্রশ্ন উঠতে পারে দেশের জার্সিতে এমন বড় মানের ফুটবলারকে খেলাতে বাফুফে এবং ভক্তরা আগ্রহী থাকলেও নিজে কতটা উচ্ছ্বসিত হামজা? এবার দেশের এক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার। জানিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার মুখিয়ে থাকার কথা। এমনকি বাংলা ভাষা শেখার কথাও বলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে কতটা আগ্রহী হামজা চৌধুরী এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা (দেশের হয়ে খেলা) দারুণ কিছু হতে যাচ্ছে। লাল-সবুজের জার্সিটা আমার বেশ পছন্দের। আমিও অপেক্ষায় আছি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে খুবই ভালো লাগবে। ইনশা-আল্লাহ, আশা করি দ্রুতই ইতিবাচক সংবাদ পাব। বাংলাদেশি পাসপোর্টও পেয়ে গেছি; আমরা প্রস্তুত আছি।’
ইংল্যান্ডে ছোট থেকে বড় হলেও বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসে ছুঁয়ে গেছে তার মন। নিজেও জানিয়েছেন দেশকে ভালোবাসার কথা, ‘এটা সত্যি আমার জন্য দারুণ ব্যাপার। বাবাও মাঝেমধ্যে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কতটা আমাকে পছন্দ করেন। তাঁরা আমার ম্যাচ দেখেন, উপভোগ করেন। এসব শুনলে গর্ব হয়। ইংল্যান্ডে বড় হলেও বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি।’
লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে মুখিয়ে থাকার কারণ জানিয়ে হামজা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ চান, আমি সেখানে খেলি। তাঁরা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমিও বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এই কারণে সিদ্ধান্ত নেই, তাঁদের হয়ে খেলব। মা-বাবাও অপেক্ষায় আছেন। তাঁরা চান, আমি যেন বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামি। তাঁরা এমনটা দেখতে পারলে অনেক খুশি হবেন।’
আরও পড়ুন:
» আবারও ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লেন নেইমার
» আগামীকাল শুরু আফগান মিশন, অনুশীলনে ব্যস্ত শান্তরা
নতুন দেশে খেলতে এলে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনো ভাবিনি। মনে হচ্ছে মানিয়ে নেওয়া কঠিনই হবে। কারণ, আমি বাংলাদেশকে যতটুকু জানি, সেটা বোধ হয় যথেষ্ট নয়। সে জন্য আমাকে আরও প্রস্তুতি নিতে হবে। হয়তো প্রথম দিকে মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন হবে। আশা করি পরে প্রতিবন্ধকতাগুলো কেটে যাবে।’
বাংলাদেশের হয়ে খেলার আশায় বাবার কাছ থেকে এবং গুগলের মাধ্যমে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টার কথা জানান তিনি। এছাড়া পরবর্তীতে তার পরিকল্পনা কি থাকবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো জানি না আমার কী করতে হবে। আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ হোক, এরপর নাহয় চিন্তা করব। আপাতত তাদের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি।’
ক্রিফোস্পোর্টস/৫নভেম্বর২৪/এফএএস