বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলা না-খেলা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে বিবাদে জড়ান হারিস রউফ। পাকিস্তানের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে তাকে বিবেচনা করা হলে তিনি অস্বীকৃতি জানান টেস্ট খেলতে। এতেই বাঁধে বিপত্তি, তার এমন সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি পিসিবি।
তার এমন কর্মকাণ্ডের শাস্তি হিসেবে এবার পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন রউফ। এছাড়াও পেয়েছেন আরও একটি শাস্তি। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিদেশের যেকোন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের এনওসি দেওয়া হবে না হারিস রউফকে।
গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান জাতীয় দলে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়ে নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে হারিস রউফকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন ওয়াহাব রিয়াজ। ওয়াহাবের দাবি দল ঘোষণার আগমুহূর্তে তার কাছে হারিস টেস্ট দলে নিজেকে না রাখার কথা জানান।
ফিটনেস ও ওয়ার্কলোডের বিষয় উল্লেখ করে সেই সিরিজ থেকে সরে গেলেও ওই সময় রউফ অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে খেলার জন্যে পিসিবির কাছে অনাপত্তি (এনওসি) চেয়েছিলেন। রউফের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছিল পিসিবি।
পিসিবির তদন্তে হারিস রউফের ব্যক্তিগত মতামত সন্তুষ্ট করতে পারেনি ওই কমিটিকে। বিবৃতি দিয়ে পিসিবি জানায়, ‘কেবল মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং যথাযথ কারণ সাপেক্ষে পাকিস্তান টেস্ট স্কোয়াড থেকে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। এছাড়া কোনো কারণে টেস্ট খেলতে না চাওয়া কেন্দ্রীয় চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল।’
পিসিবির সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেকোনো ক্রিকেটারেরই পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি সম্মানজনক মনে করা উচিত। যদিও হারিস রউফ পাকিস্তান টেস্ট দলে নিয়মিত সদস্য ছিলেন না। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন শেষ টেস্ট ম্যাচ।
এদিকে সেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাদা পোশাকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। একমাত্র অভিজ্ঞ বোলার শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে পেস আক্রমণে ছিলেন অভিষিক্ত আমের জামাল ও আবরার আহমেদরা। তবে পাকিস্তান হেরেছিল মূলত তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে।
আরও পড়ুন: শরিফুলদের প্রশংসা করে যা বললেন জিমি নিশাম
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬ফেব্রুয়ারি২৪/এফএএস