দ্বিতীয় দফায় লংকান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে দায়িত্বে ফেরানো নিয়ে অনেকেরই দ্বিমত ছিল। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর তা বেড়ে যায় আরও বহুগুণে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের টেস্টে হারানোর পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও জয়খরা কটিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। এরপরও এই লংকান কোচকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এস এম রকিবুল হাসান।
আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘হাথুরু শুধু তার একটি পরিকল্পনা নিয়েই চলে, তার দ্বিতীয় কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন আমি যদি এটি বলি তো অনেকেই তা ভাল চোখে দেখবে না, এরপরও আমি তা পরিস্কার করে বলে দিচ্ছি। কিছু কিছু কোচ বিভিন্ন দেশে কোচিং করাতে যায় কিছু সময়ের জন্য শুধু মোটা অঙ্কের টাকা আয় করতে। তাদের উদ্দেশ্যই থাকে যেভাবেই হোক রেজাল্ট বের করা। এর জন্য তারা শুধু শর্ট-কাট পন্থা খোঁজে। সে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা থাকে না। আমি তো দুই বছর পর অন্য কোথাও চলে যাবো, পরে কি হবে সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমার সময়ে কয়েকটা ম্যাচ জেতাতে পারলেই আমার কাজ হয়ে যাবে।’
কোচ হিসেবে হাথুরুর তেমন ভ্যালু নেই বলেও দাবি করেন রকিবুল, ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, হাথুরু যে পরিমাণ আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে বিসিবির থেকে সেটা আপনাদেরও অজানা নয়। আমরা তাকে কত টাকার বেতন দিয়ে রাখছি। অতো বড় মাপের কোচ হলে সে তো আর বাংলাদেশের কোচ হতো না। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হতো। কিন্তু সেসব দেশের কোচ সে কেন হতে পারেনি? কারণ তার তো ভ্যালু নেই ওসব দেশের কোচ হওয়ার মত। তার প্রতি সম্মান রেখেই আমি কথাগুলো বললাম।’
ক্রিকেটের ব্যাকগ্রাউন্ড যথেষ্ট মজবুত না হলে সে কোচ ক্রিকেটারদের থেকেও যথার্থ সম্মান আদায় করতে পারে না। আজ আপনি যদি রিকি পন্টিংকে কোচ হিসেবে আনতে পারেন, সৌরভ গাঙ্গুলীকে মেন্টর হিসেবে আনতে পারেন তাহলে তাদের কোচিং করানো লাগবে না। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড বা মোটিভেশনাল কথাতেই দেখবেন খেলোয়াড়েরা কতটা উদ্বুদ্ধ হয়’ – যোগ করেন রকিবুল।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে যেসব দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি