রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম আধ ঘন্টা বাংলাদেশ দলের জন্যে ছিল রীতিমত দুঃস্বপ্নের মতো। আগের দিন কোন উইকেট না হারিয়ে করা ১০ রান থেকে আজ শুরু করেছিল টাইগাররা। তবে এদিন আর মাত্র ১৬ রান যোগ করতে নিজেদের টপ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
তবে এরপর টাইগারদের ইনিংস মেরামতের কাজ করেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট পতনের পর টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মিরাজ। এতে করে বাংলাদেশ টক্কর দেয় সমানে সমান।
২৬ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট পতনের ম্যাচ টাইগাররা টেনে নিয়ে আসে লড়াই করার অবস্থানে। লিটন দাসের ১৩৮ ও মেহেদী মিরাজের ৭৮ রানের সুবাদে ২৬২ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। ১২ রানের লিড নিয়ে দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এদিন খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজকে কৃতিত্ব দিয়ে লিটন বলেন, ‘মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে অবশ্যই। আমার তো হাতে লাগার পর খুব একটা শট খেলতে পারছিলাম না। মিরাজ শট খেলে তাদের অনেকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। আমার মনে হয় শুরুর দিকে মিরাজের কয়েকটা বাউন্ডারি খেলার একটা মোমেন্টাম তৈরি করে দিয়েছে।’
শুরুতে উইকেটে আসার পর নতুন ব্যাটার হিসেবে পরিস্থিতি কেমন ছিল এবং তার কী চিন্তাভাবনা ছিল সেটা তুলে ধরে লিটন বলেন, ‘আমি কখনওই লম্বা চিন্তাভাবনা করিনি। আমি যখন সাকিব ভাইয়ের সাথে শুরু করলাম, তিনি তখন তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেন। আমি আর মিরাজ দুজনই তখন নতুন ব্যাটার।’
খেলার মাঝে মিরাজের সঙ্গে কেমন আলোচনা চলছিল তা উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘আমাদের মাঝে একটাই আলোচনা চলছিল যে, খেলাটা কতখানি টানা যায়। কারণ তারা খুবই ভালো বল করছিল। নতুন বল সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। তারা একটা ভালো ছন্দে ছিল। আমাদের চিন্তা ছিল আমরা কীভাবে ছন্দটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারি।’
আরও পড়ুন: বিগ ব্যাশে রিশাদ হোসেনের সতীর্থ কারা?
ক্রিফোস্পোর্টস/২সেপ্টেম্বর২৪/এফএএস