
২০০০ সালের পর আবারও আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড-ভারত। আবারও একবার শিরোপা জয়ের সুযোগ ছিল কিউইদের সামনে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলো না।
অন্যদিকে ১২ বছরের অপেক্ষা শেষ হলো ভারতের। ২০১৩ সালের পর ফের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুললো রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।
রবিবার (৯ মার্চ) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৬ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে শিরোপা উল্লাসে মাতে হার্দিক পান্ডিয়ারা।
আরও পড়ুন:
» ২৫২ রান করলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ভারতের
» জানা গেল মেসিকে না খেলানোর কারণ, আজ দেখা যাবে মাঠে?
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার পর ভারতের জন্য এটা টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা। শুধু তাই নয়, ২০০২ সালে যৌথভাবে এবং ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ তৃতীয়বার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুললো ভারত। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া দুইবা এই শিরোপা জিতেছে।
গ্রুপপর্বে ভারতের কাছে হারা নিউজিল্যান্ড ফাইনালে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টায় মাঠে নেমে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি। ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে কোনোরকমে আড়াইশ ছুঁয়েছে। দুবার জীবন পাওয়া রাচিন রবীন্দ্র সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান। ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান করেন আরেক ব্যাটার ইয়াং।

আবার হতাশ হয়েই চেয়ে থাকতে হলো কিউই কোচ গ্যারি স্টেডকে।
অভিজ্ঞ ব্যাটার উইলিয়ামসন ১৪ বলে করেছেন ১১ রান। এরপর টম ল্যাথামও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ফিলিপস ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।
৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মিচেল। পরে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন তিনি।ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট নেন। আর মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এ উল্লাস বিজয়ের, এ উল্লাস শিরোপা জয়ের
রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের ছিল দুর্দান্ত সূচনা। রোহিত ৭৬ রান করে আউট হন। শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল ৬১ রানের পার্টনারশিপ দলকে শিরোপা জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুল মিলে ভারতকে জয় এনে দেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে স্যান্টনার ও ব্রেসওয়েল দুটি করে উইকেট পান।
এদিন ৭৬ রান করা রোহিত শর্মা ম্যান অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হন। আর টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরিসহ ২৬৩ রান ও বল হাতে ৩টি উইকেট নেওয়ার রাচীন রাবীন্দ্র টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯মার্চ২৫/এজে
