Connect with us
ক্রিকেট

আর কতদিন বিসিবির চেয়ার আঁকড়ে রাখবেন পাপন?

বিসিবিতে পাপন। ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের। যার পর পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে দেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রে। যার ব্যতিক্রম নয় ক্রীড়াঙ্গনও। রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় প্রায় সকল ক্রীড়া সংগঠনে রদবদল শুরু হলেও অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।

দেশের অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠনের মত এখানেও বিস্তার করছে রাজনৈতিক প্রভাব। যেমন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সদ্য সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের একজন সাংসদ। এমন কিছু শেখ হাসিনা সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীও ছিলেন তিনি। আ’লীগ সমর্থিত অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবস্থান থেকে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করলেও নিজের অবস্থানে বহাল আছেন পাপন।

যদিও বিসিবিতে সেই পরিবর্তন এত সহজে দেখার সুযোগ নেই। কেননা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় না। সেখানে কোন প্রকার পরিবর্তন আনতে হলে মানতে হবে আইসিসির সকল নিয়ম। বিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাই বোর্ড পরিচালনায় সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ দেখা দিলে বিসিবিকে পড়তে হতে পারে বড় শাস্তির মুখে।

যেমনটা গতবছর লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ ও পরিবর্তনের কারণে আইসিসি কর্তৃক বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে। তাই এখনই বিসিবিতে পরিবর্তন দেখার কোন সুযোগ নেই। প্রতি চার বছর পরপর হয়ে থাকে বিসিবির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আসতে পারে ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন। যেখানে আ’লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জয় পাওয়া কিছুটা কঠিনই হতে পারে।

বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। সেই হিসেবে আরও প্রায় এক বছর ক্রিকেট বোর্ড প্রধানের দায়িত্বে থাকার কথা রয়েছে পাপনের। বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৩তম অনুচ্ছেদের এক ধারা অনুযায়ী মৃত্যু, পদত্যাগ, মানসিক ভারসাম্যহীনতা অথবা শৃঙ্খলাজনিত শাস্তি প্রদানের প্রেক্ষিতে বোর্ড পরিচালকের পদ শূন্য হতে পারে।

এছাড়া বোর্ডের গঠনতন্ত্রের ১৫তম অনুচ্ছেদের দুই ধারা অনুযায়ী, শারীরিক অসুস্থতা, বিদেশ গমন বা যথাযথ কারণ ছাড়া টানা ৩ দফা পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল হবে। প্রতি দুই মাসে একটি করে সভা মিস দিলেও সর্বনিম্ন ছয় মাস সময় প্রয়োজন হবে পাপনের বিসিবি থেকে সদস্যপদ বাতিল হবে। এতে করে ছয় মাসের আগে বিসিবি থেকে সরে যাওয়ার কোন বোর্ড সভাপতির।

যদিও বোর্ড সভা হওয়া নিয়েও আছে শঙ্কা। কেননা বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভা সাধারণত আহ্বান করে থাকেন সভাপতি। এছাড়া সভা আয়োজনে পরিচালকদের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি অপরিহার্য। যাকে কোরাম হিসেবে অভিহিত করা হয়। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের বড় অংশ আ’লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তাই বোর্ডের সভা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।

আরও পড়ুন: ব্রাজিলকে হারিয়ে অলিম্পিকের সোনা জিতল যুক্তরাষ্ট্র

ক্রিফোস্পোর্টস/১০আগস্ট২৪/এফএএস

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট