দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। সরকারের পট পরিবর্তনের পর আর দেশে ফেরেননি আওয়ামী লীগের এই সাবেক সংসদ সদস্য। সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজ এবং চলমান ভারতে সিরিজে দেশের বাইরে থেকেই অংশগ্রহণ করেছেন এই তারকা। তবে অক্টোবরে ঘরের দক্ষিণ সিরিজ খেলতে দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
সম্প্রতি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে টেস্টে ঘরের মাঠ থেকেই বিদায় নিতে চান সাকিব।
আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। আর এই টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটের এই আভিজাত্য সংস্করণ থেকে বিদায় নিতে চান সাকিব।
কিন্তু সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তার নামে একটি হত্যা মামলা থাকায় দেশে ফিরলে তার গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। তাই দেশে ফিরতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। দেশে ফিরে সাধারণ মানুষ হিসেবে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারলেই ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
» ভুটানকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ
» কানপুর টেস্ট শেষ না হতেই আইসিসি থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ
এ নিয়ে সাকিব বলেছিলেন, ‘দেশে গিয়ে আমি যেন ঠিকমতো খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। আমার যখন দেশের বাইরে আসার প্রয়োজন হবে, তখন যেন কোনো সমস্যা না হয়।’
নিরাপত্তার বিষয়ে বোর্ডের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন সাকিব। তবে বিসিবি বলছে, ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা বোর্ড নিশ্চিত করলেও তাকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়া বোর্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বিসিবি সভাপতি সুরেই অনেকটা সুর মেলালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনিও বলছেন ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত আছে। তবে ব্যক্তি সাকিবের নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি অবান্তর।
আজ রোববার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাকিবের প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের দুটি পরিচয়। তিনি একজন খেলোয়াড় এবং একজন রাজনীতিবীদ। আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করেছেন। খেলোয়াড় সাকিবকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে তার বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’
বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কথায় অনেকটাই স্পষ্ট যে সাকিব দেশে ফিরলে খেলোয়াড় হিসেবে যথাযথ নিরাপত্তা পাবেন। তবে তার অন্যান্য নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে না বিসিবি। ফলে সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। সেক্ষেত্রে কানপুর টেস্টই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯সেপ্টেম্বর২৪/বিটি