
বিপিএলে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময়ের প্রতিযোগিতা শেষে আজ শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। এই ম্যাচ ঘিরে নিঃসন্দেহে মধুর সমস্যায় পড়বে অসংখ্য চট্টগ্রামের দর্শকরা। কেননা ফাইনালে একদিকে আছে নিজেদের দল চিটাগং কিংস, আর অপরদিকে রয়েছে ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল খান।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ছয়টায় বিপিএলের ফাইনাল খেলতে মাঠে নামবে উভয় দল। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়কের বিরাট ভক্ত-সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে নিজ জন্মভূমি চট্টগ্রামে।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো অধিনায়ক হিসেবে বরিশালকে শিরোপা জেতাতে চাইবেন তামিম। অপরদিকে দীর্ঘ ১১ বছর পর বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে চিটাগং কিংস। এর আগে ২০১৩ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে ৪৩ রানে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল হয়েছিল তারা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আরও একবার বিপিএলের ফাইনালে লড়বে তারা।
আরও পড়ুন:
» অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নতুন গন্তব্যে ৩৮ বছরের রামোস
» বিসিবির চাকরি ছেড়ে হান্নানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা
এদিকে ফরচুন বরিশাল এবারের চ্যাম্পিয়ন হলে এটি হবে তামিম ইকবালের তৃতীয় বিপিএলের শিরোপা। তবে হেরে গেলেও হয়তো আফসোস কিছুটা কম হবে তার। কেননা নিজের জন্মস্থান থেকে আগত দল প্রথমবারের মতো বিপিএল জয় করবে, সেটাও কম কিসে। আর সেই হিসেবে ফাইনালে হারালেও এক হিসেবে জিতেই যাবেন ব্যক্তি তামিম।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তামিমকে। তিনি চট্টগ্রামের দর্শকদের চিটাগং কিংসকে সাপোর্ট করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। তবে তামিম যখন ব্যাট হাতে উইকেটে আসবেন, তখন চাইলে চট্টগ্রামের দর্শকরা তাকে চিয়ার করতে পারেন। তবে দল হিসেবে তাদের চিটাগংকেই সাপোর্ট করা উচিত। আর হয়তো মাঠের বাইরে তামিম নিজেও খুশি হবেন চিটাগংয়ের সাফল্যে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৭ফেব্রুয়ারি/এফএএস
