আইপিএলে আবারো হায়দরাবাদ ঝড় দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। চলতি টুর্নামেন্টে একের পর এক রেকর্ড ভাঙা-গড়ার কাজ করেই চলছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। এবার আরো একটি নতুন রেকর্ড গড়লো প্যাট কামিন্সের দলটি।
আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ২৭৭ রানের দলীয় সংগ্রহ দাড় করায় হায়দরাবাদ। যা বেঙ্গালুরুর ২০১৩ সালে করা ২৬৩ রানের রেকর্ড ভেঙে দেয়।
এরপর নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে দ্বিতীয় ম্যাচে করা ২৭৭ রানের রেকর্ডও ভেঙে নতুন দলীয় সংগ্রহ দাড় করায় প্যাট কামিন্সের দল। সেই ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে অল্পের জন্য তিনশ ছোয়া হয়নি, ২৮৭ রানে থামে হায়দরাবাদ।
এবার নিজেদের সপ্তম ম্যাচে আবারো হায়দরাবাদ ঝড় দেখল ক্রিকেট ভক্তরা। আরও একটি রেকর্ড গড়ল দলটি। আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে অরেঞ্জ আর্মিরা।
আজ (শনিবার) আসরের ৩৫ তম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হয় হায়দরাবাদ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় দিল্লি।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই তাণ্ডব চালানো শুরু করে ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। প্রথম ওভার থেকে আসে ১৯ রান। পাওয়ার প্লের সবকটি ওভারেই এই ধারা অব্যাহত রাখেন দুই ওপেনার।
দ্বিতীয় ওভারে ২১, তৃতীয় ওভারে ২২, চতুর্থ ওভারে ২১, পঞ্চম ওভারে ২০ এবং ষষ্ঠ ওভারে আসে ২১ রান। পঞ্চম ওভারে দলীয় শতক এবং পাওয়ার প্লে শেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৫ রান।
আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে এটাই সর্বোচ্চ রান। পাশাপাশি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসেও এটা সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১৭ আসরে দ্রুততম শতক ও পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেইবার ৬ ওভারে ১০৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল শাহরুখ খানের দল।
পাওয়ার প্লে শেষে ট্রাভিস হেড ২৬ বলে ৮৪ এবং অভিষেক শর্মা ১০ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
তবে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হেডের টানা দ্বিতীয় শতক ছোয়া হলো না। পরবর্তীতে ৩২ বলে ৮৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই বিধ্বংসী ওপেনার। এছাড়া ১২ বলে ৪৬ করে ফিরে যান আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ২৬৬ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দল কিনলেন দুই বাংলাদেশি
ক্রিফোস্পোর্টস/২০এপ্রিল২৪/বিটি