পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে এসেই বাদ পড়বে, এমনটাই হয়ে আসছে বছরের পর বছর। এখন পর্যন্ত আইসিসি বিশ্বকাপে ৭ দফা সেমিফাইনালে এসে হোঁচট খেয়েছে প্রোটিয়ারা। তবে এবার যেন সে ভুল আর করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিতে আফগানদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে পরাজিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রটিয়াদের বোলিং দাপটে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।যেখানে ৬ রান খরচায় প্রতিপক্ষের ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাবরাইজ শামসি। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, এখন তাদের লক্ষ্য কেবলই শিরোপা জয়।
প্রতিবার সেমিফাইনালে এসে আটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা এবার ট্রফি জয়ের লক্ষ্যেই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল, এমন কথা জানান শামসি, ‘এটি (ফাইনালে ওঠা) বিশাল অর্জন, কিন্তু আমরা যখন বিশ্বকাপের জন্য আসি, আমরা কেবল ফাইনালে উঠতে আসিনি; আমরা এখানে এসেছি অন্য সব দলের মতো ফাইনাল জিততে।’
নিজেদের বর্তমান দল নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই খুব শান্ত আছে। এই দলে কোনো একজনকে দলকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় না। যদি অন্য দল বা অতীতের প্রোটিয়া দলগুলোকে দেখেন, সেখানে একজন ব্যাটার ছিল, যার ওপর নির্ভর করা হতো, একজন নির্দিষ্ট বোলার ছিল, যার ওপর নির্ভর করা হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারব না, কোন বোলার বা কোন ব্যাটার আমাদের জিতিয়েছে।’
নিজেদের দলে প্রত্যেকেরই ম্যাচ জিতানোর সক্ষমতা ও দায়িত্ব আছে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমি নিশ্চিত, আসরজুড়ে আপনারা এটি দেখেছেন। বেশিরভাগ দলে সাধারণত একজন বা দুইজন মূল ব্যাটারকে আউট করার পর তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমাদের দলে সেই ব্যাটার কে? কেউ নয়। আমাদের জেতানোর জন্য প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে।’
বিশ্বকাপে নিজেদের দলের ভারসাম্য নিয়ে শামসি আরও বলছেন, ‘কারো ভালো দিন যাবে, কারো হয়তো বাজে দিন কাটবে, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে, যারা নিজেরা ম্যাচ জেতাতে সক্ষম। কেউ যদি শূন্য রানে আউট হয় বা একজন বোলার ৪০-৫০ রান দিয়ে ফেলে, তাহলেই সবকিছুর শেষ নয়। অন্য বোলার বা ব্যাটাররা সেটা পুষিয়ে দেবে।’
আরও পড়ুন: ম্যাচ হেরে কিছুদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকতে চান বাটলার
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জুন২৪/এফএএস