দীর্ঘ দিন ধরেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়রের। ইনজুরি কাটিয়ে ১ বছর পর মাঠে ফিরে আবারও ইনজুরির কালো ছায়া ভর করেছে এই ফুটবলারের উপর। এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন তিনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে আল-হিলাল ছেড়ে দিবেন নেইমার।
তবে সব কিছু পিছনে ফেলে এবার দেখা গেলো ভিন্ন দৃশ্য। সৌদি ফুটবল এবং আসন্ন ২০৩৪ বিশ্বকাপ নিয়ে বিশ্বকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখিয়েছেন নেইমার। এছাড়াও নিজেই বর্ণনা দিয়েছেন সৌদি আরবের খেলার এবং থাকার অভিজ্ঞতার কথা। তবে একটা বিষয় এড়িয়ে গিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই পোস্টার বয়।
আল হিলালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হবে কি-না এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি। সৌদি আরবে থাকার অভিজ্ঞতা এবং অন্যদের সৌদি লিগে খেলার উৎসাহ করতে গিয়ে নেইমার বলেন, ‘ এখানে খেলার সুযোগ হওয়া এবং এরকম একটা দেশে বাস করা মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি প্রায় বলে থাকি এখানে আমি অনেক বেশি সম্মান পেয়েছি। আমি অনেক আনন্দিত এবং আমি সিউর এই অভিজ্ঞতা আরও সুখের হবে। আশা করি অন্য তারকারাও এখানে খেলতে আসবে এবং আমার মনে হয় এখানে খেলার অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত তাদের।’
আগামী ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ সৌদি আরবে হতে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই আসরের জন্য ইতোমধ্যে দেশটিতে মেগা প্রজেক্ট চালু হয়েছে। আসলে সৌদির কর্তৃপক্ষের আহ্বানে তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন নেইমার। পরিদর্শন শেষে এই ফুটবলার বলেন, ‘ সৌদি আরবের গোটা আয়োজন দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমরা দূর থেকে দেশটি সম্পর্কে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি লালন করি। কিন্তু এই দেশে আসার পর সেই চিন্তা পরিবর্তন হয়ে যাবে, খুবই ইতিবাচক পরিবেশ, যা আমি পছন্দ করি। তাই অন্যদের উচিত সৌদি সংস্কৃতি জানা। এখানে থাকতে পেরে আমি এবং আমার পরিবারও অনেক খুশি। ইতোমধ্যে এখানে আসার এক বছর হয়ে গেছে এবং আমি এখানে স্থায়ী।’
সর্বোচ্চ ৪৮ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো আগামী ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। আর এই ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটি। সৌদির ৫টা শহরে ১৫ টি স্টেডিয়ামে বিশ্বের সেরা এই আসর অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে ৮টিই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের অবস্থিত। ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে দেশটি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড চালু করেছে। তারই অধীনে যুক্ত করা হয়েছে নেইমার-রোনালদোদের।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) তথ্য অনুযায়ী , রিয়াদেই অবস্থিত ৮টি স্টেডিয়াম। এছাড়াও বাকিগুলো জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওমে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কিং সালমান স্টেডিয়ামে। ভেন্যুটি নতুনভাবে নির্মাণাধীন। যার দর্শক ধারণা ক্ষমতা হবে ৯২ হাজার।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ-মালদ্বীপ প্রীতি ফুটবল ম্যাচসহ আজকের খেলা (১৩ নভেম্বর ২৪)
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩ নভেম্বর ২৪/এইচআই