বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কাজ করছেন সেই ২০১৬ সাল থেকে। একাধিক মেয়াদে কাজ করা জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটারকে নিয়ে নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। জাতীয় দল নির্বাচন এবং মাঠের খেলায় ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার বেড়াজালে নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তনেরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। ইতোমধ্যেই নতুন খবর ছড়িয়েছে – মেয়াদ শেষে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা নান্নু এবার ম্যাচ রেফারি হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে অবশেষে তিনি নিজেও মুখ খুললেন।
একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, নির্বাচক হিসেবে এবার চুক্তি না বাড়লে এরপর ম্যাচ রেফারি হবেন নান্নু। বিষয়টি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) নিজ বাসায় গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন নান্নু, ‘আমি কি করবো না করবো সেটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আমার উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। নির্বাচক ছাড়াও আমি একজন কোয়ালিফাইড লেভেল থ্রি কোচ। সেদিক নিয়েও আমি চিন্তা-ভাবনা করেছি। খেলা ছাড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সময়টা ক্রিকেটের সঙ্গেই কাটিয়েছি। বাকি জীবনটাও এভাবে ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চাই। আমি কি করবো সেটা নিতান্তই আমার সিদ্ধান্ত।’
ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব যদি ছাড়তেও হয়, তবুও তিনি ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকবেন। ‘বোর্ড থেকে এখনও পর্যন্ত আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বোর্ড সভাপতি জানালেই আর কন্টিনিউ করবো না। তখনই আমি ওটা নিয়ে পরিকল্পনা করবো। কিছু একটা তো অন্তত করতেই হবে। ক্রিকেটেই তো এতদিন পার করে দিলাম। আমার ইচ্ছা বাকি জীবনটাও ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকার।’
এছাড়াও বোর্ডের সাথে নতুন চুক্তির বিষয়ে নান্নু বলেন, ‘দশ বছর ধরে বোর্ডের সাথে কাজ করছি, এভাবেই চলে যাচ্ছে। বোর্ড কিন্তু কখনো বলেনি যে চুক্তি শেষ। আমরা এখনো একসাথে কাজ করে যাচ্ছি, তবে বোর্ড যদি মনে করে… অবশ্য বোর্ড মিটিং ব্যতীত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সুতরাং মিটিংয়ের পরই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এমনও হয়েছে যে চুক্তি না করেই বোর্ডের সাথে আমি কাজ করে গেছি, চুক্তি স্বাক্ষর করেছি এক বছর পর। আমাদের মেয়াদ আছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটা বোর্ড মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে আমাদের প্যানেল থাকবে কি না।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকেই বিসিবির নির্বাচক প্যানেলপর সদস্য ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ তার পদ থেকে পদত্যাগ করায় নান্নু পরবর্তীতে তার স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৯ সালে পুনরায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। নান্নুর সঙ্গে বর্তমানে আরও দুই নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হলেন হাবিবুল বাশার সুমন এবং আব্দুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া সফরে দুটি বড় অর্জন দেখছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি