গেল বছরের ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘স্টপ ক্লক’ নীতি। মূলত ক্রিকেট মাঠে খেলার সময়কে বেঁধে রাখতে এবং সময় অপচয় রোধ করতে এই নিয়মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আইসিসি। অনেকটা সফল এই নিয়মকে এবার স্থায়ীভাবে রূপ দিতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই (মূলত ১ জুন, ২০২৪) ক্রিকেটে স্থায়ীভাবে স্টপ ক্লক নীতি চালু করা হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী বোলিং এর সময় একজন বোলারের ওভার শেষ হওয়ার পর আরেকজন বোলারকে এক মিনিট অথবা ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নতুন ওভারের বোলিং শুরু করতে হবে। সাদা বলের দুই ফরমেটেই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে।
ফিল্ডিং দল যদি এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় অর্থাৎ এক মিনিটের মধ্যে বোলিং শুরু করতে না পারে তবে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে গোটা দলকে। অবশ্য ম্যাচ চলাকালে শাস্তি বা পেনাল্টির সম্মুখীন হওয়ার আগে দুই দফায় বোলিং সাইডকে সতর্ক করবেন আম্পায়ার। তৃতীয়বার বোলিং শুরু করতে দেরি করলে ব্যাটিং দলকে অতিরিক্ত ৫ রান দেওয়া হবে।
কেবল তাই নয়, গোটা ম্যাচ একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিচালিত হবে। ফিল্ডিং দল যদি সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভার শুরু করতে না পারে, তবে শেষ ওভার অথবা যতগুলো ওভার বাকি থাকবে সে সময় ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে একজন ফিল্ডার কম রাখতে পারবে। অর্থাৎ মাত্র চার জন ফিল্ডার বাউন্ডারিতে রাখতে পারবে বোলিং সাইড।
ম্যাচ চলাকালে পেনাল্টির পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হবে ফিল্ডিং দলকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভার শুরু করতে না পারলে পরবর্তী প্রতি ওভার এর জন্যে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে বোলিং দলকে। এই নিয়মে দলের অন্যান্য ক্রিকেটারের তুলনায় দ্বিগুণ জরিমানা দেবেন অধিনায়ক। তবে ম্যাচ ফির সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
ক্রিকেটে স্টপ ক্লক এই নিয়মের কারণে বেশ চাপেই থাকতে হবে বোলারদের। কেননা একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাকে তার বোলিং শেষ করতে হবে এবং পরবর্তী বোলারকে বোলিং শুরু করার পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে উত্তেজনা কর এবং চাপের ম্যাচগুলোতে বিষয়টা বোলারদের এবং ফিল্ডিং দলের অধিনায়কের জন্যে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
গেল বছর থেকে স্টপ ক্লক নীতি বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটে দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত বোলিং পরিবর্তনের মাঝে নির্দিষ্ট এক মিনিটের অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত করার কারণে কোন ফিল্ডিং দলকে ৫ রান পেনাল্টি পেতে হয়নি। তবে নির্ধারিত সময়ে বোলিং ইনিংস শেষ করতে না পারায়, ম্যাচ পরবর্তীতে জরিমানা এবং চলাকালে বাউন্ডারিতে ফিল্ডার রাখতে সীমাবদ্ধতায় পড়তে হয়েছে অনেক দলকে।
আরও পড়ুন: পিএসএল থেকে বাবর আজমদের বিদায়, ফাইনালে ইসলামাবাদ
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬মার্চ২৪/এফএএস