২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথেই হঠাৎ করে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরে অবশ্য তামিমের জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠলেও তিনি আবারও লাল-সবুজ জার্সিতে ফিরবেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। আজ (৯ মার্চ) মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দশম বার্ষিক সভার পর সাংবাদিককদের প্রশ্নে তামিম ইকবালের জাতীয় দলে ফেরার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তামিম জাতীয় দলে আবার ফিরতে চাইলে এটা পুরোপুরি তামিমের উপরই নির্ভর করবে। এখানে কোচের থেকে কোন মতামত শোনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না বোর্ড সভাপতি। এ প্রসঙ্গে পাপনের মন্তব্য, ‘তামিম জাতীয় দলে ফিরবে কি না এ ব্যাপারে কোচকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই৷ তাই কোচের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাদাভাবে বসারও কোনো প্রয়োজন আমি দেখছি না। তামিম খেলতে চাইলে অবশ্যই খেলবে।’
গত বছরের জুলাইয়ে তামিম হঠাৎ কেন জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তার কারণ পাপন এখনও জানেন না। সাথে তিনি এটাও বলেন, তামিম ঠিক কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল সেটা জানা জরুরী। তামিমের অবসর প্রসঙ্গে পাপন জানান, ‘তামিমের থেকে আগে জানতে হবে সে কেন অবসর নিয়েছিল৷ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবশ্যই কোন না কোন কারণ ছিল। এখন প্রথম সমস্যাই যদি জানতে না পারি তাহলে পরবর্তী সমস্যাগুলোর তো সমাধান করতে পারবো না। প্রথম সমস্যার কারণই তো এখনো জানি না।’
তামিম ইকবালের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির সম্পর্ক কেমন এমন প্রশ্নে পাপনের জবাব, ‘শুধু তামিম না, জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক বলেই আমি মনে করি। কিন্তু এটা তো শুধু আমার মনে করার বিষয় না, বাকিরা কি মনে করে এটাও একটা বিষয়।’
উল্লেখ্য, গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে টাইগার হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথে টাইগার কাপ্তান তামিম ইকবালের শীতল সম্পর্কের কারণে নানা ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমে গুঞ্জন শোনা যায়। এমন কথাও শোনা যায়, বিশ্বকাপ দলে খান সাহেবের অন্তর্ভুক্তিতে দ্বিমত রয়েছে হাথুরুর। এর জেরেই কিনা তখন দলের অধিনায়কত্ব ও পরে বিশ্বকাপ দল থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন দেশসেরা এই ওপেনার।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে কী বলল বিসিবি
ক্রিফোস্পোর্টস/৬মার্চ২৪/এমএস/এমটি