বিশ্বকাপ শুরু হবে রাত পোহালেই। ক্রিকেট ভক্তদের অপেক্ষা ফুরোচ্ছে। সবার চোখজোড়া এখন মার্কিন মুলুক আর ক্যারিবীয়ান সাগরের পাড়ে। কিন্তু মূল লড়াই শুরুর আগে আজ শেষ প্রস্তুতি খেলতে মাঠে নামছে টাইগাররা। নিউইয়র্কের এই নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই মাঠ নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক আর্টিকেল। মাত্র চার মাসে তৈরি ওই ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যেখানে বসানো হয়েছে ড্রপিং পিচ। এই স্টেডিয়ামটি দেখে অবাক, ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
এই ম্যাচ সামনে রেখে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত ও রোহিত। সেখানে মাঠটি দেখার পর শান্ত বলেন, ‘সত্যি বলতে গেলে, আমি পুরোপুরিভাবেই চমকে গেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছিলাম, সেখানেই বলা হচ্ছিল উইকেট কেমন হবে, স্টেডিয়ামটি কেমন হবে। আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলাম এটা দেখার জন্য যে, উইকেট কেমন হবে। কিন্তু এখানে এসে পুরো স্টেডিয়াম এবং উইকেটগুলো দেখে দারুণ লাগছে। বলতে গেলে, স্টেডিয়ামটা দেখে আমি তাজ্জব হয়ে গেছি।
শান্ত আরও বলেন, ‘আমার কাছে এই স্টেডিয়ামের সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো এটার গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড। বিশেষ করে, এখানে বেশ কিছু বড় বড় স্ট্যান্ড রয়েছে। এমনটা আশা করিনি। তবে এগুলোর বাইরে পুরো স্টেডিয়ামই দারুণ। আশা করি, এই স্টেডিয়ামে আমাদের ম্যাচগুলোতে স্থানীয় বাংলাদেশিদের সমর্থন পাবো।’
এই স্টেডিয়ামে বসানো হয়েছে ড্রপিং পিচ। যেটি আনা হয়েছে লাস ভেগাস থেকে। প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াও আগামী ১০ই জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এখানেই খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কাজেই উইকেট বুঝতে এই প্রস্তুতি ম্যাচটিও বাংলাদেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্য এই স্টেডিয়ামটির প্রশংসায় মত্ত হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। টাইগারদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াও গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ এই মাঠেই খেলবে ভারত। তাইতো ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে আছে তারাও।
হিটম্যান বলেন, এটি একটি দুর্দান্ত স্টেডিয়াম। অসাধারণ এবং খোলামেলা একটা মাঠ। আমরা এখানে ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছি। বিশেষ করে, এখানকার উইকেটের অবস্থাও বুঝতে চেষ্টা করছি আমরা। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে উইকেটের আচরণ বোঝা আমাদের জন্য বেশ জরুরি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জেতানো পুরনো কোচকে দলে ফেরালো বিসিবি
ক্রিফোস্পোর্টস/১জুন২৪/এজে