অনেকেই হয়তো মনে করেছিলেন বিপিএলে এবারের আসরে প্রথম পরাজয়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। তবে সকলকে ভুল প্রমাণ করে শেষ ওভারে ২৬ রানের সমীকরণ মিলিয়ে নুরুল হাসান সোহান জেতান দলকে। গেলবারের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে রংপুরকে এনে দেন এক ঐতিহাসিক জয়।
এই নিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল গেল বারের এই দুই ফাইনালিস্ট দল। উভয় ম্যাচই জয় দিয়ে রাঙাল রংপুর রাইডার্স। যেখানে গতকাল রাতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন দলটির অধিনায়ক। শেষ ওভারে সোহান হাকিয়েছিলেন ৩টি করে চার ও ছক্কা। ৭ বলে খেলেন অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস।
সোহানের এমন মারকুটে ব্যাটিংয়ে দলকে জেতানো নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ম্যাচ চলাকালে ধারাভাষ্য কক্ষ থেকেও হয়েছে তেমনটা। এদিন ম্যাচ শেষে এমন ইনিংস খেলার জন্য নিজের ভালোলাগার কথা জানিয়ে সোহান বলেন, ‘এমন ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে পেরে অবশ্যই খুব ভাল লাগে।’
আরও পড়ুন:
» সোহানের অপরাধে মাহেদী কেন আউট হলেন?
» সুপার কাপে বার্সা-রিয়াল ক্লাসিকো, ফাইনাল কবে কখন?
তবে দলকে জেতালেও নিজের মধ্যে একটা আক্ষেপ রয়ে গেছে তার, ‘ম্যাচের পর বার বার মনে হচ্ছিল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সাথে ম্যাচের কথা। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে আমাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ রানের। আমি মনে হয় প্রথম ৫ বলে ১৪-১৫ রানের মত নিয়ে ফেলি। শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রানের; কিন্তু আমি ছক্কা হাঁকাতে পারিনি। ঘটনাটি ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।’
আর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ডেলিভারিতে ছক্কা হাকাতে না পারলে পরাজয় বরণ করেছিল বাংলাদেশ। সেই আক্ষেপটা এখনো ভেতরে পুষে রেখেছেন সোহান। তিনি বলেন, ‘সেই ছক্কাটি আমার খুব ইচ্ছে ছিল হাঁকানোর; কিন্তু আমি পারিনি। সেই না পারার কথা এখনো মনে হয়। ওয়ার্ল্ডকাপের মঞ্চে হিরো হওয়ার সুযোগ এসেছিল; কিন্তু পারিনি। ২০ রান লাগতো।’
তবে আজ দলকে জেতাতে পেরেছেন তিনি। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে সোহান বলেন, ‘অনেক ভাল লাগছে। মহান সৃষ্টিকর্তার অনেক দয়া ও কৃপা। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আগের ওভারে যখন নেমেছি রাব্বি ভাই (কামরুল ইসলাম) বললো তুমিই খেলো। সোহানের কথা, প্রথম বল ছয় হওয়ায় বিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল তার।’ এমনকি শেষ বলেও ২ রানের প্রয়োজন থাকতে ছক্কা হাকানোর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০জানুয়ারি২৫/এফএএস